গত ২০ বছরের সবচেয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হতে পারে ‘আম্পান’ !!
প্রবল শক্তি নিয়ে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ আজ বুধবার বিকাল বা সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।এদিকে ‘আম্পান’ ২০ বছরেরও বেশি সময় পর এ অঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হতে পারে। ১৯৯৯ সালে উড়িষ্যার উপকূলে আঘাত হানা প্রবল এক ঘূর্ণিঝড় ভারতে ৯ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় আম্পান উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।বুধবার সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এসময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে বলে মঙ্গলবার জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এক বুলেটিনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-১০ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করার সময় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। একইসাথে ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।