গর্ভবতীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিলেন র্যাবের এএসপি !!
করোনা ভা’ইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে যখন সারাদেশের যানবাহন চলাচল সীমিত করা হয় তখন শ্রীমঙ্গল র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন ঘোষণা দেন যে শ্রীমঙ্গল ও হবিগঞ্জ এলাকায় কোন গর্ভবতী মায়ের প্রসবকালীন জটিলতা নিয়ে যানবাহনের সমস্যা হলে উনার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে ফোন করার জন্য। তাহলে তিনি নিজ দায়িত্বে সেই গর্ভবতী মাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য গাড়ীর ব্যবস্থা করবেন।
রোববার রাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার দক্ষিণ উত্তরসূর এলাকা থেকে এক গর্ভবতী মায়ের প্রসবকালীন জটিলতা নিয়ে ফোন পান তিনি। তাৎক্ষণিক ছোটে যান নিজেই। সেই মাকে নিজের কোলে তুলে নিয়ে যান শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে একপুত্র সন্তান ভূমিষ্ট হয়। ববর্তমানে মা ও ছেলে উভয়েই সুস্থ আছেন।
র্যাব কমান্ডার শামীম আনোয়ার সাহেবের এমন মানবিকতায় সত্যিই অবাক পাড়া গায়ের সেই মানুষ গুলো। আবেগ তাড়িত গর্ভবতী মায়ের ভাইপোর লেখা এফবি স্যাটাস হুবহু তুলে ধরলাম।শ্রীমঙ্গল র্যাবকে ভগবান অনেক বড় পুরস্কার দেক!
গতকাল রাত আনুমানিক সাড়ে এগারটা। আমার পিসির প্রসব বেদনা ওঠে। রক্ত ভাঙা শুরু হয়। কিন্তু বাচ্চা প্রসব হইতেছিল না। তাই সবাই বল হসপিটালে নেওয়াই লাগবে। হসপিটালে নেওয়ার জন্য এত রাতে গাড়ি কোথায় পাব- চিন্তায় আমরা সবায় টেনসন করতেছিলাম। অনেক চেষ্টা করেও গাড়ি পাই নাই। পরিচিত অনেক সিএনজি ডাইবারকে অনুরোধ করেও লাভ হয় নাই। তারা বলে এত রাতে যাইতে পারবে না।
এমন সময় আমার প্রিয় বড় ভাই রাজু (উপজিলা চেয়ারম্যানের ছেলে) ভাই আমাকে শ্রীমঙ্গল র্যাব কমান্ডার, এএসপি আনোয়ার হোসেন শামিম ছারের নাম্বার দেয়। তিনি নাকি এরকম সব মানুষকে সাহায্য করেন। প্রথমে বিশ্বাস করি নাই। তবুও কল দিলাম। ওনি বললেন ২ মিনিটের মধ্যে রওনা হইতেছেন। বিশ্বাস করি নাই। পরে দেখি ওনি ঠিক সময়মতো তারাতারি আসছেন।
আমরা আরো আসচর্য হইলাম, পিসির হাটার অবস্থা ছিল না। ওনি মুখে কিছু না বলে পিসিকে কোলে করে নিয়ে গাড়িতে তুলল। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর রোগীকে কোলে নিয়ে আবার একবারে অপারেশন রুমে দিয়া আসছে। আমার আসচর্য হইলাম, এই রকম মানুষও কি পৃথিবীতে আছে!(আমার পিসির গর্ভ থেকে ভাই হইছে, দুইজনই সুস্থ আছে। সবার আশীবাদ চাই)