ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পর আসবে ‘নিসর্গ’ !!
প্রা’ণঘা’তী করোনা ভা’ইরাসের মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। এদিকে ১৬ বছর আগে নামকরণ করা হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্পানের। আজ বুধবার ঝড়টি আছড়ে পড়তে চলেছে উপকূলে।গত ২০০৪ সালে ঝড়ের এই নাম দিয়েছিল থাইল্যান্ড। ‘আম্পান’ শব্দের মানে হল আকাশ। কিন্তু বর্তমানে এটি উপকূলবাসীর জন্য আতংকের নাম হয়ে উঠেছে।
কয়েক বছর আগে তৈরি হওয়া ঝড়ের তালিকার এটাই শেষ ঝড়। ‘আম্পান’ এর আগের ঘূর্ণিঝড়টির নাম ছিলো ‘ফণী’। এই ঝড়ের নাম দিয়েছিল বাংলাদেশ, যার অর্থ হল সাপ।কীভাবে নামকরণ করা হয় এই ঘূর্ণিঝড়গুলির? আম্পানের পরবর্তী ঝড়গুলির নাম কী? বিশ্বজুড়ে প্রতিটি সমুদ্র অববাহিকায় যে ঘূর্ণিঝড়গুলি তৈরি হয়, আঞ্চলিকভাবে বিশেষায়িত আবহাওয়া কেন্দ্র এবং ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা কেন্দ্রগুলির দ্বারা সেগুলির নামকরণ করা হয়।
ওয়ার্ল্ড মেটিরিওলজিকাল অর্গানাইজেশন, ইউনাইটেড নেশন্স ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগর বা ডব্লিউএমও ইস্কাপের তালিকাভুক্ত দেশগুলি বিভিন্ন ঝড়ের নাম প্রস্তাব করে।এই তালিকায় রয়েছে ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ওমান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ডের নাম। এই অঞ্চলে উদ্ভুত ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে এই দেশগুলিই।
২০১৮ সালে তালিকায় আরও পাঁচটি দেশকে যুক্ত করা হয়েছে। এই পাঁচটি দেশ হল ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী আর ইয়েমেন। এপ্রিলে প্রকাশিত নতুন তালিকায় ঘূর্ণিঝড়ের ১৬৯টি নাম রয়েছে। তালিকার ১৩টি দেশের থেকে ১৩টি প্রস্তাবিত নাম রয়েছে এখানে।
প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী আম্পানের পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়গুলির নাম হল, নিসর্গ (বাংলাদেশের প্রস্তাবিত), গতি (ভারতের প্রস্তাবিত), নিভার (ইরানের প্রস্তাবিত), বুরেভি (মালদ্বীপ প্রস্তাবিত), তৌকতাই (মায়ানমারের প্রস্তাবিত নাম) এবং ইয়াস (ওমান প্রস্তাবিত)।