নির্দেশ দিলে কাদের মির্জার চামড়া দিয়ে জুতা বানানো হবে !!
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কাদের মির্জার বাড়ি থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে অনুষ্ঠিত ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্দেশ দিলে আবদুল কাদের মির্জার গায়ের চামড়া দিয়ে জুতা বানিয়ে পায়ে দেওয়া হবে। মির্জা আগুনে হাত দিয়েছে। হাত পুড়ে যাবে। অহংকার বেশি দিন টিকেনা। মির্জা কাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার ও মেয়র পদ থেকে অপসারণ না করা পর্যন্ত দাগনভূঞাবাসী রাজপথে থাকবে।’
সভাস্থলের অদূরেই বসুরহাট পৌরসভা এলাকায় মির্জা কাদের ও তার প্রতিপক্ষের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় সেখানে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। তবে ফেনীর দাগনভূঞা এলাকা বা সমাবেশ এলাকা ১৪৪ ধারা জারি এলাকার বাইরে ছিল। সমাবেশে ফেনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে যানবাহনে করে দলের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন।
বক্তারা আরো বলেন, কাদের মির্জা আমেরিকায় গিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সাথে মিটিং করেছে। তারেক জিয়ার সাথে মিটিং করেছে। দিনের পর দিন নেশাগ্রস্ত হয়ে আবোল-তাবোল বকছেন। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপিদের বিরুদ্ধে সারাক্ষণ মিথ্যাচার করছে। বসুরহাট পৌরসভায় বসে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করছে। আগামী নির্বাচনে সে বিএনপি থেকে নির্বাচন করবে। সে কোম্পানীগঞ্জের একজন কুলাঙ্গার। কাদের মির্জা একজন চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, মাদকাসক্ত ও দুশ্চরিত্রবান ও বেসামাল লোক। শেখ হাসিনা তাকে মাফ করলেই তবে ফেনীবাসী তাকে ক্ষমা করতে পারে।
কোম্পানীগঞ্জের মানুষ অনেক আশা ভরসা নিয়ে কাদের মির্জাকে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করেছিল। মির্জার লোকজন কোম্পানীগঞ্জে অনেক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে খুন করেছে। সাংবাদিক বুরহানকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীকে মাধধর নির্যাতন করে এলাকা ছাড়া করেছে।
বক্তারা কাদের মির্জাকে একজন পাগল ও উম্মাদ অখ্যায়িত করে তাকে পাবনার মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর আহ্বান জানান।সোমবার বিকেলে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার এয়াকুব পুর ইউনিয়নের নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা সংলগ্ন দক্ষিন চাঁদপুর কাইয়ুম পাটোয়ারী বাড়ির সামনে ফেনী-বসুরহাট সড়কে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।নেতৃবৃন্দ বলেন, কাদের মির্জা ডিসি, এসপি ও পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলার এতো সাহস পায় কোথায়?
দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ, ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম, ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী, ফেনী জেলা যুবলীগের সভাপতি ও দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির, ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করিম উল্যাহ, সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ মিলন, ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার, ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, দাগনভঞা পৌরসভার মেয়র ওমর ফারুক খান, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আহমেদ রিয়াজ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন ফিরোজ, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হায়দার প্রমুখ।
কাদের মির্জার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের এ প্রতিবাদ সমাবেশকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুর থেকে ফেনী-বসুরহাট সড়কে কোনো যানবাহন চলাচল করেনি।প্রসঙ্গত, কাদের মির্জা শুরু থেকেই নোয়াখালীর সংসদ সদস্য একরাম চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে ফেনীর স্থানীয় সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী, দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির, সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ ও ফেনী পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বিষোদগার করে আসছেন। তিনি মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে দাগনভূঞায় তার গাড়িবহরে হা’মলার জন্যও তিনি তাদের দায়ী করেন। এছাড়া ফেনী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝেও এ নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।