চিকিৎসা দিতে গিয়ে করোনা আ’ক্রান্ত, সুস্থ হয়ে ফের নিয়মিত চিকিৎসা দিচ্ছেন তিনি!!
নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে করোনা আ’ক্রান্ত হন। প্রায় মাসখানেক হোম আইসোলেশনে থেকে করোনামুক্ত হয়েই আবার হাসপাতালে যোগ দিয়েছেন। করোনা রোগীদের ফের নিয়মিত চিকিৎসা দিচ্ছেন তিনি।
ডা. মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মাসখানেক হাসপাতাল থেকে দূরে ছিলাম। আজকে ওয়ার্ডে রাউন্ড দিয়ে মানসিকভাবে অনেক স্বস্তি পেয়েছি। আমি রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে কখনো মনোবল ভাঙিনি। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হওয়ায় অনেক রোগীর সংস্পর্শে আসতে হয়েছে। শুরুর দিকে পিপিই স্বল্পতার কারণেই হয়তো অ্যাফেক্টেড হয়ে গিয়েছিলাম। তবে এখন সুস্থ হয়েছি। সুস্থ হওয়ার পর আজকে ডিউটি করেছি। হাসপাতালের অনেকেই আ’ক্রান্ত। জনবল সংকট তাই সুস্থ হয়েই কাজে যোগদান করেছি।
করোনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, শুরুর দিকে জ্বর ছিল। এরপর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বাড়িতেই অক্সিজেন সেটআপ করা হয়। মাথাব্যথা, শরীরব্যথা সবই ছিল। হঠাৎ ঠান্ডা আবার হঠাৎ গরম লেগেছে। সে এক অবর্ণনীয় অবস্থা। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলেছি, স্বাস্থ্যবিধি মেনেছি। আমার ১১ বছরের মেয়েরও করোনা পজিটিভ আসে। তবে সে এখন সুস্থ।
তিনি আরও বলেন, আসলে প্রথম থেকেই সাবধান হতে হবে। দেরি হলেই সমস্যা। আমার প্রথম যেদিন জ্বর এসেছে সেদিনই আমি আলাদা কক্ষে আইসোলেশনে চলে গেছি। এরপর তো পরীক্ষায় পজিটিভ আসলো।তিনি জানান, আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় সাধারণ খাবারই খেয়েছেন। নিয়মিত গরম পানি ফুটিয়ে ভাপ নিতে হয়েছে। গরম পানি, চা পান করেছেন কয়েকবার। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ সেবন করেছেন।
করোনাজয়ী এই চিকিৎসক বলেন, মনোবল হারানো যাবে না। মনে সাহস রাখতে হবে। আইসোলেশনে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই সুস্থ হওয়া যাবে। শুরুতেই সাবধান হয়ে যেতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মনোবল হারানো যাবে না। এই পরিস্থিতিতে সাহস রাখা প্রয়োজন।
গত ৮ এপ্রিল করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা হাসপাতালটি নির্ধারণ করা হয়। দুদিন পরই কোভিড-১৯ শনাক্ত হন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ। এরপর বাড়িতেই আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। পরপর দুবার পরীক্ষা করে করোনা নেগেটিভ আসে তার। গত ৫ মে তাকে সুস্থ ঘোষণা করা হয়। এরপর ৯ মে আবার হাসপাতালে যোগদান করেন।