চীন ফেরত সেই রংপুরের ছাত্রের শরীরে মেলেনি করোনা-ভাইরাস !!
চীনফেরত আনহুই ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড টেকনোলজির সিভিল বিভাগের শিক্ষার্থী তাশদীদ হোসেনের শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তাশদীদ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসুলেশন বিভাগের করোনা (আইসুলেশন) ইউনিটে চিকিৎসাধীন।রোববার সকালে ১২ সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. দেবেন্দ্রনাথ সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে করোনা আশঙ্কা করা হলেও বিশেষজ্ঞ দল ওই ছাত্রের শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ পায়নি।এর আগে শনিবার দুপুরে তাশদীদ হোসেনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসুলেশন বিভাগের করোনা (আইসুলেশন) ইউনিটে ভর্তি করা হয়।তাশদীদের বাড়ি নীলফামারীর ডোমারের মির্জাগঞ্জ গ্রামে।
তাশদীদ হোসেনের বাবা আলতাফ হোসেন জানিয়েছেন, তার ছেলে তাশদীদ হোসেন রংপুর সরকারি পলিটেকনিক্যাল কলেজ থেকে সিভিলে ডিপ্লোমা পাসের পর বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য চীনের আনহুই প্রদেশের আনহুই ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড টেকনোলজিতে সিভিলে ভর্তি হয় আড়াই বছর আগে।
ষষ্ঠ সেমিস্টার শেষে তাদের ভ্যাকেশন চলছিল। এরই মধ্যে চীনে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বাংলাদেশি শিক্ষার্থী চলে আসে। আমার ছেলে তার দুই সহপাঠী কুমিল্লা ও চট্টিগ্রামের দুজনসহ ২৯ জানুয়ারি ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে রাত ১২টায় নামে।
তখন চট্টগ্রামের ছেলেটির জ্বর হওয়ায় সেখান থেকে তাকে কুর্মিটোলা হাসাপাতালে নেয়া হয়। তিন দিন পর তাকে সেখানে থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। আমার ছেলে অপর বন্ধুসহ রাতে হোটেলে থেকে ৩০ জানুয়ারি নীলসাগর ট্রেনযোগে বাড়িতে আসেন।
এর পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর জেলা সিভিল সার্জন ও থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমার বাড়িতে আসেন এবং তার শরীরের খোঁজখবর রাখতে থাকেন। সে ভালো ছিল। এরই মধ্যে গত পরশু থেকে আমার ছেলের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সঙ্গে সামান্য জ্বর ছিল।
এ কারণে শনিবার দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। তখন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক তাকে করোনা (আইসুলেশন) ইউনিটে ভর্তি করান। প্যারাসিটামলসহ কিছু ওষুধ দিয়েছেন। সেগুলো খাওয়াচ্ছি। কর্তৃপক্ষ বলছে ঢাকায় জানানো হয়েছে।
এদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক(প্রশাসন) ডা. মোদাব্বের হোসেন জানান, শনিবার আমরা তাশদীদকে আইসুলেশন বিভাগের করোনা ইউনিটে ভর্তি করেছি। তার শারীরিক কন্ডিশনের বিষয়ে ঢাকায় আইইডিসিআরে তথ্য পাঠানো হয়।
সেখান থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। তার দেহ থেকে রক্ত, কফসহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে এরই মধ্যে ঢাকায় পাঠানো হয়।রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. নুরুন্নবী লাইজু জানান, আবিদ হোসেন নামে চীনফেরত এক ব্যক্তি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে এলে তাকে আইসুলেশন বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।