ছেলের জন্মদিনে ১৫০ জন রিকশা ও ভ্যানচালককে খাওয়ালেন পুলিশ কর্মকর্তা !!
ছেলের জন্মদিনে ১৫০ জন রিকশা ও ভ্যানচালককে খাওয়ালেন পুলিশ কর্মকর্তা এক বাবা। প্রতিবারেই বাসায় ঘটা করে জন্মদিন পালন করলেও এবারেরটা হলো একটু ব্যতিক্রম।সামাজিক এ দুর্যোগে ভিন্ন স্বাদে সন্তানের পঞ্চম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করলেন নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মো. মাহমুদ উন নবী। বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে তিনি ছেলের জন্মবার্ষিকীর বরাদ্দ টাকায় বাসায় খিচুড়ি রান্না করে শহরের প্রধান সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা রিকশা ও ভ্যানচালকদের খাওয়ালেন তিনি।
সন্তানের জন্মদিনে সামর্থ্যবানরা জাঁকজমক করে উদযাপন করেন ঘরোয়া পরিবেশে। তাতে অংশগ্রহণ থাকে পরিবারের সদস্যসহ আত্মীয়-স্বজনের। কিন্তু এবার বিশ্বজুড়ে করোনার প্রভাবে সামাজিক দূরত্বের উপর রয়েছে বিধি নিষেধ। তাই বলে কি উদযাপন হবে না ছেলের জন্মবার্ষিকী?
জেলা শহরে নিউ বাবুপাড়ার ভ্যানচালক রহিদুল ইসলাম বালু জানান, করোনা ভা’ইরাসে গত সাতদিন ধরে শহরের দোকান পাঠ বন্ধ ও মানুষজন থাকায় আমরা প্রায় কর্মহীন পড়েছি। রোজগার না থাকায় সমায়িকভাবে কষ্টের মধ্যে দিন যাচ্ছে। কোর্ট চত্ত্বর দিয়ে যাওয়ার সময় খাবার প্যাকেট বিতরনণ করতে দেখে এগিয়ে গেলে আমাকেও একটি খাবার প্যাকেট তুলে দেয়া হয়। পরে জানলাম ওই স্যারের ছেলের আজ পঞ্চম জন্মবার্ষিকী।তিনি বলেন, সামর্থ্যবানরা হৈ-চৈ করে বাসা-বাড়িতে জন্মদিন পালন করে। কিন্ত তিনি তা না করে মানবসেবায় এগিয়ে আসেন।
সদর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মো. মাহমুদ উন নবী বলেন, আজ আমার ছেলে রাইয়ান-আল-আবিদের পঞ্চম জন্মবাষির্কী। জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাসায় মিলাদ মাহফিলসহ নানা আয়োজন থাকতো। কিন্তু দেশের এই বর্তমান পরিস্থিতে খেটে খাওয়া অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। তাই এবারে ছেলে এবং পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে ১৫০ জন রিকশা ও ভ্যানচালকের মাঝে দুপুরের খাবার বিতরণ করে জন্মবার্ষিকী পালন করলাম।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন, হারিছুর রহমান, আমিনুল ইসলাম, শাহরুল ইসলাম প্রমুখ।