জাতীয় সংসদে যুবাদের প্লটসহ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি !!
যুব বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে বিশ্বদরবারে লাল সবুজের সম্মান বইয়ে এনে দেওয়ায় অনুবর্ধ-১৯ বিজয়ী ত্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সংসদ সদস্যরা। তারা ক্রিকেটে বিজয়ী বীরদের রাষ্ট্রীয়ভাকে সংর্বধনা জানানোর আহবান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তাদের জন্য প্লটসহ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
আজ ১০ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এই দাবি জানানো হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে কথা বলার সুযোগ নিয়ে এই আলোচনার সূত্রপাত করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু।এরপর গণফোরামের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মুনসুর আলোচনায় অংশ নেন। এ সময় অধিবেশনে উপস্থিত সংসদ সদস্যরা তাদের বক্তব্যকে টেবিল চাপড়ে সমর্থন জানান।
এ সময় আলোচনায় মুজিবুল হক বলেন, ‘বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে সারা দেশের মানুষ আনন্দিত। যুব বিশ্বকাপের আমাদের ছেলেগুলো পরিশ্রম করে যে দৃষ্টান্ত রেখেছেন তাতে দুনিয়ার মানুষ আমাদের চিনতে পারছে। বাঙালি জাতি বাংলাদেশের মানুষ সকলেই এই ছেলেদের প্রকাশ্যে ঢাকা আসার পর গণসংবর্ধনা দেওয়ার পক্ষে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে তাদের যথাপোযুক্ত সম্মানী দিয়ে তাদের যেন সম্মানিত করা হয়, সেটাও সকলে চায়।’
এ সময় সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, ‘যুব বিশ্বকাপে আকবর বাহিনীর বিজয়ের মাধ্যমে ৪৯ বছরের আগের সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে যেভাবে পরিচিত ছিলাম সেইভাবে পরিচিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বাঙালিরা মাথা উচু করে দাঁড়াবে, বাঙালিরা এগিয়ে যাবে, বাঙালিরা কখনো মাথা নত করবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রমাণ করেছি এই উপমহাদেশে বাংলাদেশ হচ্ছে অগ্রগামী দেশ। বাংলাদেশে যেমনভাবে এবার বিশ্বকাপ জয় করেছি, তেমনি ১৯৯৭ সালে আইসিসিতে জয়লাভ করেছিলাম। তাই আকবর বাহিনীকে সংবর্ধনা জানানো হোক।’
তিনি আরো বলেন, আকবর বাহিনী, অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা যেভাবে সম্মান বয়ে এনেছে, তাই তাদের শিক্ষা-জীবনের যাবতীয় খরচ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে নির্বাহ করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।’তাছাড়া তাদের সুন্দর জীবন যাপনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্লটসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান তিনি।