জানা গেল এ বছরের প্রচণ্ড শীতের কারণ !!
বাংলাদেশে প্রবেশ করছে ঠান্ডার ভয়াল প্রকোপ। একইসঙ্গে দেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ায় এ বছর শীতের তীব্রতা বাড়ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। শীতে দরিদ্র মানুষের সহায়তায় বরাদ্দ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব। ১০ দিন ধরে দেশে তাপমাত্রার ছন্দপতন। তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে রাজধানীসহ সারাদেশ। এরমধ্যে কুয়াশা, ঠান্ডা বাতাস ও মৃদু বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি জরাজীর্ণ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলা।
চলতি মাসের প্রথম শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় সবচেয়ে কম থাকলেও এবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাউসার পারভিন জানায়, হিমালয়ের পাদদেশ থেকে ঠান্ডা বাতাস আরব সাগর হয়ে ভারত বর্ষ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের ফলে প্রকট হচ্ছে শীতের মাত্রা। শীতে বেশি ভুক্তভোগী শিশু ও বৃদ্ধ। এ জন্য শীতার্ত দরিদ্র মানুষের জন্য প্রতি ইউনিয়নে ৪৫০টি করে কম্বল দেয়া হয়েছে বলে জানান দুর্যোগ ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ্ কামাল। একইসঙ্গে দরিদ্র পরিবার ও শিশুদের জন্য গরম কাপড় ও শুকনো খাবার কিনতে জেলা পর্যায়ে দেয়া হয়েছে নগদ অর্থও।
দুর্যোগ ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ্ কামাল বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ত্রাণ ১০ শতাংশ বাড়িয়েছি। প্রায় আড়াই লাখ কম্বলের ব্যবস্থা করেছি। শিশুদের জন্য আলাদাভাবে শীতবস্ত্র কেনার জন্য জেলা প্রশাসককে আলাদাভাবে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি। আসন্ন জানুয়ারির প্রথম দিকে দীর্ঘ মেয়াদে একটি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা থাকায় জানুয়ারির শুরুতেই উত্তরাঞ্চলে সফরের মাধ্যমে জরিপ শেষে বরাদ্দের ক্ষেত্রে বৃহৎ পরিকল্পনার কথাও জানান দুর্যোগ সচিব। জানুয়ারি মাসে কয়েক দফা শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।