দেশের খবর

জিয়াউর রহমান খালেদাকে নিয়ে প্রতিমাসে আমাদের বাড়ি গিয়ে বসে থাকতো!

জাতীয় সংসদের ১৪ তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান খালেদা জিয়ার সঙ্গে মাসে একবার আমাদের বাড়িতে যেতেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাসঘাতকদের সমালোচনা করে বলেন, “হ্যাঁ, আমাদের দল অসৎ ছিল। সেখানে খন্দকার মোস্তাক-তোস্তাকারা ছিলেন। আমি এটা অস্বীকার করি না। আমাদের বাড়ির চাল কারো পেটে যায়নি।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের ১৪ তম অধিবেশনে বিএনপির সমাপনী বক্তব্যে সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের এখন তাদের কাছ থেকে মানবাধিকার সম্পর্কে শুনতে হবে। আপনাকে আইনের শাসন শুনতে হবে। আমি পারতাম আমার পিতামাতার বিরুদ্ধে হত্যার মামলা করবেন না। আমাদের সেই অধিকার ছিল না। ”

শেখ হাসিনা বলেন, “জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমি তাকে অভিযুক্ত করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিব রেজাউল হায়াত বলেছিলেন যে মৃত ব্যক্তিদের দোষারোপ করা যাবে না। আমার মনে হয় নাম অভিযুক্ত হওয়া উচিত ছিল। কারণ ফারুক-রশিদ নিজেই বলেছেন যে জিয়া ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত।
একাধিক বই আছে। এবং যদি জড়িত না হন, তাহলে কেন তারা যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দিলেন যাদের বিচার হয়েছিল? জিয়াউর রহমান বিচার বন্ধ করে সবাইকে কারাগার থেকে মুক্তি দেন।

তিনি সাতটি খুনের আসামিকে মুক্তি দেন। তিনি খুনিদের ডেকে একটি দল গঠন করেন। যদি স্বাধীনতার যুদ্ধ হয়, তাহলে মন্ত্রী কেন একাত্তরের অগ্নিসংযোগকারী ও হত্যাকারীদের উপদেষ্টা বানিয়েছিলেন? সংসদে বসলেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। তিনি তার স্ত্রী খালেদা জিয়াকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়ে এমপি বানিয়েছিলেন। হত্যাকারী, অপরাধী, ধর্ষক, যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গি – তারা তাদের সাথে থাকে। ‘

সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জিয়ার আমলে প্রতিটি কারাগারে কতজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল তার একটি রেকর্ড আছে।” একটু খোঁজ নিন। ‘

Jannat Tia

Hey! I'm Jannat Tia. Bangladeshi Content creator and Content writer. I would like to write about trending topic and news of National and International

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button