দেশের খবর

জুনে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আসছে নতুন বড় সুখবর !!

সরকারের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা আগামী জুন থেকে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা ইএফটির আওতায় আসবে। এর মাধ্যমে বেতন-ভাতার পাশাপাশি কম সুদের গৃহঋণও পাবেন চাকরিজীবীরা।বেসামরিক প্রশাসনে কর্মরত অবস্থায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী মৃত্যুবরণ ও আহত হয়ে স্থায়ী অক্ষমতার কারণে সরকার থেকে দেয়া আর্থিক অনুদানের টাকা ইএফটির মাধ্যমে দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়। সময় মতো অনুদানের টাকা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে পৌঁছবে বলে জানান কর্মকর্তারা।এ ছাড়া কল্যাণ অনুদানের টাকাও ইএফটির মাধ্যমে দেয়া হবে। এতে এ সব অনুদানের টাকা সরাসরি উপকারভোগীর ব্যাংক হিসাবে চলে যাবে।

এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান জানান, বর্তমানে নবম থেকে প্রথম গ্রেডে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা ইএফটির মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও ইএফটির আওতায় দেয়া হবে। এ ছাড়া বেসামরিক প্রশাসনের কর্মরত অবস্থায় কেউ মারা গেলে বা স্থায়ী অক্ষম হলে তাদের দেয়া আর্থিক অনুদানও ইএফটির আওতায় আনা হচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ২০১৮ সালের জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহনির্মাণ ঋণের নীতিমালা জারি করেছে সরকার। তবে যাদের ইএফটিতে বেতন-ভাতা হচ্ছে, শুধু তারাই এ ঋণের জন্য আবেদন করতে পারছেন। অন্যরা ঋণের জন্য আবেদনই করতে পারছেন না। এ কারণে শুধু সচিবালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অল্প কিছু দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঋণের আবেদন করতে পারছেন।

কর্মকর্তারা আরও জানান, ফ্ল্যাট ও প্লট কিনতে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহনির্মাণ ঋণের নীতিমালা জারি হয় ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই, যা ওই বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর ধরা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী, জমি বা ফ্ল্যাট কিনতে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন তারা। যে কোনো সরকারি চাকরিজীবী ৯ শতাংশ সুদে এ ঋণ নিতে পারবেন। ২০ বছর মেয়াদি এ ঋণের ৫ শতাংশ সুদ ঋণগ্রহীতা পরিশোধ করবেন। বাকি ৪ শতাংশ সরকার মাসিক কিস্তিতে ভর্তুকি দেবে।

নীতিমালা জারির পর রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার। এ সব প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরিজীবীদের এ ঋণ দেয়ার কথা। নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনো চাকরিজীবী ঋণ পাওয়ার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের যে কোনো একটিতে আবেদন করবেন। ব্যাংক ওই আবেদন যাচাই-বাছাই করে ইএমআই শেষে আবেদনকারী কর্মকর্তা যে মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত আছেন, ওই মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। ওই মন্ত্রণালয় থেকে তা অনুমোদন করে অর্থ বিভাগে ‘গৃহনির্মাণ ঋণ কোষ’ শাখায় পাঠানো হবে। তখন এ শাখা থেকে প্রাথমিক জিও জারি করে তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দেয়া হবে। তার ভিত্তিতে ব্যাংক ঋণ দেবে।

ঋণ দেয়ার পর অর্থ বিভাগ চূড়ান্ত জিও জারি করে ওই কর্মকর্তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যাতে প্রতি মাসে সুদের ভর্তুকির অর্থ স্থানান্তর হয়,সে ব্যবস্থা করবে। ঋণ নেয়ার পর ২০ বছর বা ঋণগ্রহীতার পিআরএলের মধ্যে যেটি আগে হবে, ততদিন প্রতি মাসে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভর্তুকির অর্থ পৌঁছে যাবে। নতুন বাজেটে গৃহনির্মাণ ঋণ খাতে সুদ ভর্তুকি বাবদ ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

J A Suhag

Local News: J A Suhag writes Local News articles for industries that want to see their Google search rankings surge. His articles have appeared in a number of sites. His articles focus on enlightening with informative Services sector needs. he holds the degree of Masters in Business and Marketing. Before he started writing, he experimented with various professions: computer programming, assistant marker, Digital marketing, and others. But his favorite job is writing that he is now doing full-time. Address: 44/8 - North Dhanmondi, Dhaka Email: [email protected]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button