জেনে নিন বিশ্ব ইজতেমার কারনে যেসব সড়ক বন্ধ থাকবে !!
দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত আগামীকাল রোববার। এ উপলক্ষে রোববার ভোর ৫ টা থেকে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুর, চৌরাস্তা, মিরেরবাজার-টঙ্গী, আবদুল্লাপুর থেকে বাইপাস সড়কে আশুলিয়া পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে।শনিবার সকাল ১০টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইজতেমায় অংশ নেয়া কয়েক লাখ মুসল্লির ছাড়াও আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ইচ্ছুক অসংখ্য মুসল্লির যাতায়াতের সুবিধার্থে ভোর ৫টা থেকে বিমান বন্দর- গাজীপুরের জয়দেবপুর, চৌরাস্তা, মিরেরবাজার-টঙ্গী, আবদুল্লাপুর থেকে বাইপাস সড়কে আশুলিয়ায় ব্যারিকেড দিয়ে ইজতেমাসংলগ্ন এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে।পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ইজতেমা শেষে যাওয়ার সময় একই ব্যবস্থাপনা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে শনিবার সকালে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত উপেক্ষা করে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে আগত মুসল্লিরা নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান করে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন।বাদ ফজর ভারতের মাওলানা আবদুর রহমানের বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দিনের ইজতেমা।
এর আগে শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আমবয়ান করেন রায়বেন্ডের মুরব্বি মাওলানা উবাইদুল্লাহ খুরশীদ। এর পর সকাল ১০টায় স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক এবং অন্য পেশাজীবীদের উদ্দেশে বিশেষ বয়ান হয়।
ইজতেমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা জানিয়েছেন, অন্যবারের তুলনায় এবারের ইজতেমায় মুসল্লির সংখ্যা বেশি। ইজতেমা মাঠের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে নতুন ১৪টি খিত্তা (নির্ধারিত স্থান) যুক্ত করার মাধ্যমে মাঠের পরিধি বাড়ানো হয়েছে।
আর পুরো ইজতেমাকে ৯১টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। এর পরও জায়গা না পাওয়ায় ময়দানের বাইরে রাস্তায় অবস্থান করছেন মুসল্লিরা।
আর মুসল্লিদের ব্যবহারের জন্য ৩১টি ভবনে আছে ৮ হাজার ৩৩১টি শৌচাগার। ১৭টি গভীর নলকূপ দিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে পানি। তিনটি গ্রিড থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে মাঠে। মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১০টি বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়েছে।
রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।মুসল্লিদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ময়দানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২০১১ সাল থেকে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা তিন দিন করে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়।
১৭ জানুয়ারি শুরু হবে সা’দ অনুসারীদের ইজতেমা। ১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২০ সালের দুই গ্রুপের দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা।
এদিকে গত কয়েক লাখ মুসল্লি কাতারবন্দি হয়ে জুমার নামাজ আদায় করেছেন। গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায় শুক্রবার দেশের বৃহৎ এ জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহৎ এ জামায়াতে ইমামতি করেন কাকরাইল মসজিদের খতিব ও তাবলিগের শূরা সদস্য মাওলানা জোবায়ের। দুপুর ১টা ৪২ মিনিটে নামাজ শুরু হয়।
এর আগে বৃহৎ এ জুমার জামাতে অংশ নিতে শুক্রবার সকাল থেকেই ঢাকা-গাজীপুরসহ আশপাশের জেলারগুলোর মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে এসে জমায়েত হন। দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা ইজতেমায় উপস্থিত হয়ে বয়ান শোনেন ও জুমার নামাজে অংশ নেন।