জেনে নিন মাত্র একদিনেই যেভাবে পাবেন ই-পাসপোর্ট !!
বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়েছে, অতি জরুরি ফি প্রদান সাপেক্ষে পাসপোর্ট পেতে সময় লাগবে প্রায় একদিন। আর এর মেয়াদকাল হবে পাঁচ ও ১০ বছর। বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৩ হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৫ হাজার ৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৭ হাজার ৫০০ টাকা। আর ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫ হাজার টাকা, জরুরি ফি ৭ হাজার টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯ হাজার টাকা। অন্যদিকে বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫ হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৭ হাজার ৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১০ হাজার ৫০০ টাকা। দশ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৭ হাজার টাকা, জরুরি ফি ৯ হাজার টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১২ হাজার টাকা।
সাধারণ ফি প্রদান সাপেক্ষে পাসপোর্ট পেতে সময় লাগবে প্রায় ২১ দিন। জরুরি ফি প্রদান সাপেক্ষে পাসপোর্ট পেতে সময় লাগবে প্রায় ৭ দিন। অতিজরুরি ফি প্রদান সাপেক্ষে পাসপোর্ট পেতে সময় লাগবে প্রায় ১ দিন। বিদেশে অবস্থারত বাংলাদেশিদের জন্য পৃথক ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট সাধারণভাবে পেতে ফি দিতে হবে ৩০ মার্কিন ডলার; ১০ বছর মেয়াদি হলে ৫০ মার্কিন ডলার। ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি ১৫০ মার্কিন ডলার ও ১০ বছর মেয়াদি হলে ফি দিতে হবে ১৭৫ মার্কিন ডলার।
৪৮ পৃষ্ঠার জরুরিভাবে ৫ বছর মেয়াদি ৪৫ মার্কিন ডলার ও ১০ বছর মেয়াদি হলে ফি দিতে হবে ৭৫ মার্কিন ডলার। ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট জরুরিভাবে পেতে ফি দিতে হবে ২০০ মার্কিন ডলার। ১০ বছর মেয়াদি হলে ফি দিতে হবে ২২৫ মার্কিন ডলার। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি শ্রমিক ও শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য সাধারণ আবেদনকারীদের জন্য পৃথক ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। দূতাবাসের মাধ্যমে ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট সাধারণভাবে পেতে ফি দিতে হবে ১০০ মার্কিন ডলার। আর ১০ বছর মেয়াদি হলে ফি দিতে হবে ১২৫ মার্কিন ডলার। ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট সাধারণভাবে পেতে ফি দিতে হবে ১৫০ মার্কিন ডলার। আর ১০ বছর মেয়াদি হলে ফি দিতে হবে ১৭৫ মার্কিন ডলার।
ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র অনলাইনে অথবা পিডিএফ ফরমেট ডাউনলাড করে পূরণ করা যাবে। বাংলাদেশ সরকারের ই-পাসপোর্ট এ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে https://epassport.gov.bd/landing। পাঁচটি ধাপে ফরম পূরণ করে Application summary ও পূরণকৃত Applicaion form-এর pdf ফাইল প্রিন্ট করতে হবে। আপনার পছন্দের তারিখ ও সময় মেইলে জানানো হবে। প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র (বিআরসি) সহ বাবা-মা এর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ব্যাংকে ই-পাসপোর্ট ফির রশিদসহ পুরাতন পাসপোর্ট যদি থাকে সেগুলো নিয়ে যেতে হবে। আবেদনপত্র গ্রহণের সময় হাতের দশ আঙুলের ছাপ, ছবি ও চোখের আইরিশ ফিচার নেয়া হবে। আবেদন করার বিস্তারিত নিয়মাবলি এরইমধ্যে অধিদফতরের ওয়েব সাইটে আপলােড করা হয়েছে।