বাবারে আমাদের টাকা লাগবো না দেশে ফিরে আয় !!
সৌদি আরবের তায়েফ শহরে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটে মতলব পৌরসভা ও নায়েরগাঁও এলাকার মামা-ভাগিনাসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে তাদের মরদেহ দেশটির হসপাতালে রয়েছে। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন, উপজেলার নায়েরগাঁও এলাকার আজগর প্রধানের ছেলে লিটন (৩৫), তার ভাগিনা পৌর এলাকার দক্ষিণ নলুয়া প্রধানিয়া বাড়ীর খোকন প্রধানিয়ার ছেলে মেহেদি হাসান (২২) ও নায়েরগাঁও এলাকার সফিক মোল্লার ছেলে ফয়সাল মোল্লা (২৩)।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) রাত ১০টায় নিহত মেহেদির চাচাত ভাই মাসুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত লিটনের ফুফাত ভাইয়ের ছেলে সেলিম ফোন করে আজকে আমাদের মৃত্যুর সংবাদ জানায়। ঘটনাস্থলে বসবাসকারী বাংলাদেশী প্রবাসীদের মধ্যে কেউই এখন পর্যন্ত স্পষ্ট করে বলতে পারছে না কিভাবে মারা গেছে। কেউ বলছে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে, কেউ বলছে গ্যাস সিলিন্ডার বি’স্ফোরণে।
মাসুদ আরও বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়নি। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তাদের মরদেহ দেশে আনার জন্য প্রক্রিয়া চলছে।ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে মৃত মেহেদি হাসান আকাশের মা শাহিনুর আক্তার কান্না করছেন আর বলছেন, বাবারে টাকা লাগবে না, তুই দেশে ফিরে আয়। আমি তোর মুখটা দেখতে চাই’।
রোববার দুর্ঘটনার দিন ছেলের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয় শাহিনুর আক্তারের। আগামী সপ্তাহে আকাশ টাকা পাঠানোর কথা বলেন মাকে। রমজান মাসে দেশে আসবেন, কার জন্য কি লাগবে মায়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন আকাশ। রমজানের আগেই বাড়ি ফিরবেন আকাশ, তবে কফিনে বন্দি হয়ে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক জানান, সৌদি আরবে মারা যাওয়া তিনজনের ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কেউ জানাতে পারেনি। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মরদেহ দেশে আনতে সহযোগিতা করবো।