টাঙ্গাইলে প্রেমিকের সঙ্গে পালাল মা, মেয়ের সংবাদ সম্মেলন, এরপর…
টাঙ্গাইলে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে এক গৃহবধূ এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার মেয়ে। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বের) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাইমুনা আক্তার তানহা। মাইমুনার আক্তার তানহা ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি একজন নাবালিকা মেয়ে। আমার মা শাহনাজ আক্তার (৩৩) বাসাইল উপজেলার বর্ণি কিশোরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা। আমার বাবা প্রবাসে থাকাকালীন (২০০৭-২০১৮ সাল পর্যন্ত) আমার মায়ের পূবালী ব্যাংকের একাউন্টে ৫৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭২ টাকা পাঠায়। এ ছাড়ার মাকে বাবা বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার ও সখীপুর মৌজায় জমি কিনে দিয়েছেন। এমনকি আমার নানার বাড়িতে দুটি টিনের ঘরও নির্মাণ করে দেয়।
তানহা বলেন, আমার বাবা বিদেশে থাকা অবস্থায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরদিঘুলিয়া গ্রামের হাসান মাস্টারের ছেলে মনিরুজ্জামান মামুনের সাথে আমার মায়ের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে সেই বিষয়টি আমি জানার পর মাকে ওই সম্পর্ক থেকে বিরত থাকতে বলি। এ কারণে তিনি আমাকে একাধিকবার মারধর করে। গত ৮ নভেম্বর আমার মা নগদ ২০ লাখ টাকা ও ১৬ ভরি স্বর্ণ এবং আমার ছোট ভাই আদিল আহানাফকে (আড়াই বছর) নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আমি ও আমার বাবা বিভিন্ন এলাকা এবং আত্মীয়ের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি মা মনিরুজ্জামানের মামুনের সাথে পালিয়ে গিয়েছে।
‘বিষয়টি টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, ৩০ নং বর্ণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর আবেদন করেও কোন সুরাহা হয়নি। পরবর্তীতে আমার বাবা বাদি হয়ে টাঙ্গাইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাসাইল থানা আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন।’
তানহা বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করার পর থেকে মনিরুজ্জামান মামুন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের হুমকি দিয়ে আসছে। আমি মামুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মাকে আমি ফেরত চাই। মাকে নিয়ে আগের মত যেন আমরা সংসার করতে পারি সেই প্রত্যাশা কামনা করছি। এ সময় মাইমুনা আক্তার তানহার বাবা সুলতান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।