টিকিটের টাকা নেই মালয়েশিয়া প্রবাসীদের !!
মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে থাকা বিদেশিদের ‘ব্যাক ফর গুড’ কর্মসূচির আওতায় স্বদেশে ফেরত যাওয়ার জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে দেশটির সরকার। এ কর্মসূচির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটে বিমানের টিকিটের দাম চার থেকে পাঁচগুণ বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশটিতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশি কর্মীদের স্বদেশে ফিরে যেতে ‘ব্যাক ফর গুড’ কর্মসূচির আওতায় সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে দেশটির সরকার। চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর। তবে কর্মসূচি প্রক্রিয়াধীন থাকলেও প্রতিদিনই ইমিগ্রেশন পুলিশের ধরপাকড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সাধারণ ক্ষমার সুযোগটি কাজে লাগিয়ে প্রবাসীরা স্বদেশে যেতে চাইলেও বাড়তি টাকা দিয়ে আকাশ পথের টিকিট কেনার সামর্থ্য নেই দেশটিতে থাকা অবৈধ প্রবাসিদের। কুয়ালালামপুর- ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্সগুলো অসহায় ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে চার থেকে পাঁচগুণ বাড়তি অর্থ আদায় করছে বলে অভিযোগ প্রবাসীদের।
আকাশপথের টিকিটের দাম বৃদ্ধি কেন তা জানতে চাইলে কিছুদিনের মধ্যেই এ সঙ্কট নিরসন হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেন সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সগুলোর কর্মকর্তারা।জিএসএ কুয়ালালামপুর রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ইঞ্জিনিয়ার বাদলুর রহমান খান বলেন, ‘যখন এয়ারলাইন্সে চাহিদা বেশি থাকে তখন এয়ারলাইন্সগুলো সুযোগ নেয়।’
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স মালয়েশিয়া ডেপুটি ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আরও ২-১টা ফ্লাইট বাড়িয়ে আরও বেশি বাংলাদেশি যাতে বাংলাদেশে পাঠানো যায় সে ব্যবস্থা আমরা করছি।’মালয়েশিয়া সিভিক ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস পরিচালক রাশেদ বাদল বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণ সংস্থার এ সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা না থাকায় এয়ারলাইন্সগুলো নিজেদের ইচ্ছেমতো চড়া মূল্যে টিকিট বিক্রি করছে।’
২০১৬ সালে দেয়া রি-হায়ারিং কর্মসূচিতে যে সব কর্মী দালাল চক্রের হাতে প্রতারিত হয়ে বৈধতা পায়নি অথবা যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে দেশটিতে এখনও অবৈধ রয়েছে শুধু সে সব কর্মী ‘ব্যাক ফর গুড’ কর্মসূচির সাধারণ ক্ষমায় দেশে ফিরছেন।
এ পর্যন্ত ‘ব্যাক ফর গুড’ কর্মসূচির আওতায় ১ লাখেরও বেশি বিদেশি শ্রমিক নিবন্ধন করেছেন। তার মধ্যে প্রায় ৩২ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। এছাড়া চলতি বছর দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশের ধরপাকড় অভিযানে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় প্রায় ১১ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি আটক হয়েছেন।
স্বদেশে ফেরার অপেক্ষায় এ প্রবাসীদের আকাশপথের বিমান ভাড়া কমানোসহ আসন সঙ্কট নিরসনে সব এয়ারলাইন্সগুলোতে অতিরিক্ত ফ্লাইট দিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান প্রবাসীরা।