ডাক্তাররা কখনও পালায়না, ডাক্তারদের পালাতে নেই !!
হ্যাঁ সত্যি এখন আমার ভ’য় করে হাসপাতালে যেতে, ডিউটির পর বাসায় ফিরতে। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবো। নিজেকে এই পেশায় বিলিয়ে দিতে কখনো পিছপা হবনা। নিজের অসুস্থ বাচ্চা বাসায় রেখেও হাসপাতালের বাচ্চাদের চিকিৎসা দিয়েছি। আমার নিজের খাওয়া ঘুম বাদ দিয়ে রোগী দেখতে সমস্যা নেই, কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি একদমই ভিন্ন!
এখন আমি আমার পরিবারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। আমার মাধ্যমে যদি ভা’ইরাস বাসায় নিয়ে যাই তো আমার বাচ্চাদের কি হবে, বাসার অন্যদের কি হবে? তবুও আমি ডিউটি করছি, পালাইনি, পালাবোও না।ভ’য় করে বাচ্চাদের চুমু দিতে, কোলে নিতে। নিজের নিঃশ্বাসকেই বিষাক্ত মনে হয়। দুইটা বাচ্চাই তো অনেক ছোট। নিজে নিজে খাওয়াটাও শিখেনি।
কি যে করতেছে আল্লাহই জানে! তারমধ্যে পিপিই পরে কাজ করাও বিশাল এক যন্ত্রণা! মনে হয় মাথা থেকে পা পর্যন্ত পলিথিনের চাদর প্যাঁচানো। গরমে অবিরাম ঘাম ঝড়তে থাকে। N95 মাস্ক পরে দম কেমন বন্ধ হয়ে আসে। আর চশমার উপর আরেকটা ভারি চশমা পরে চোখ, নাক, কান ব্যাথায় টনটন করতে থাকে! প্রতিটি ডিউটিই এমন মানসিক আর শারীরিক কষ্টে ভরা। জানিনা কতদিন টিকে থাকবো। তবে আমি পালাবনা। ডাক্তাররা কখনও পালায়না। ডাক্তারদের পালাতে নেই!ডাক্তার জহরাফ মুনাফের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেওয়া