তোর পরকীয়া ও বেঈমানির জন্য আত্মহত্যা করলাম!
আমার জীবন পাঁচজনের মতো নয়। মনে রেখো, আমি তোর বেঈমানি ও পরকীয়ার জন্য আত্মহত্যা করেছি।
কুমিল্লায় এমন একটি স্ট্যাটাস দিয়ে একজন যুবলীগ নেতা আত্মহত্যা করেছেন। তার নাম এমরান হোসেন মুন্না (২৯)। তিনি সদর বারপাড়ার মতিউর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, প্রেমের ৮ বছর পর এমরান ও ঊষা পরিবারের সম্মতি ছাড়াই বিয়ে করেন। কিন্তু এক বছরেরও কম সময় পরে, তাদের দাম্পত্য জীবনে অশান্তি ছিল। স্ত্রী ঊষা ঢাকায় পড়াশোনা করেছেন। সেখানে তিনি আরেকটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিভিন্ন প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে তার স্ত্রীকে বের করতে না পারায় এমরান হোসেন মুন্না অভিমান করে আত্মহত্যা করেন। তিনি কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের সদস্য।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা শহরের বারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের বাবা মোহাম্মদ তার স্ত্রী সৈয়দা সাজিয়া শারমিন ঊষার (২৮) বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মতিউর রহমান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শহরতলীর বারপাড়া এলাকা। মতিউর রহমানের ছেলে এমরান হোসেন মুন্না। লাকসামের রাজাপুর এলাকার খিলা বাজার গ্রামের সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে সৈয়দা সাজিয়া শারমিন ঊষা মুন্না এবং ঊষা একসময় কুমিল্লা বাণিজ্যিক ইনস্টিটিউটের (বর্তমানে সরকারি সিটি কলেজ) ছাত্র ছিলেন। দুই এক বছরের সিনিয়র-জুনিয়র। কলেজ জীবনে তারা প্রেমে পড়েছিল।
২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রেমের কারণে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাদের সংসার জীবন টানতে শুরু করে। ঊষা তার বেশিরভাগ সময় ঢাকায় কাটিয়েছেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায়। মুন্না প্রথমে কুমিল্লায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করলেও পরে চাকরি ছেড়ে কুমিল্লায় ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করেন। দিন দিন তাদের মধ্যে ফাটল ধরে।