দাঁত ক্ষয় হচ্ছে ?? বুঝে নিবেন এসব লক্ষণে !!
দাঁত প্রতিটি মানুষের জন্যই খুব জরুরি। যেকোনো শক্ত খাবার খেতে হলে দাঁত ছাড়া উপায় নেই। তাছাড়া দাঁত না থাকলে সৌন্দর্যও নষ্ট হয়। তবে আমাদের অসতর্কতার কারণেই দাঁতের ক্ষয় হতে থাকে। যা একসময় যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।ঠিকমতো মুখ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না রাখা, দাঁতে খাদ্যকণা লেগে থাকা ইত্যাদি দাঁত ক্ষয়ের সম্ভাব্য কারণ। দাঁত ক্ষয়ের আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-
ইউনিভার্সিটি ডেন্টাল কলেজের দন্ত্য সংরক্ষণ বিভাগের প্রধান ডা. আব্দুল মালেক বলেন, রোগীর প্রথমে দাঁত সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার। দাঁতের মাঝামাঝি যদি কেটে দেই, সবচেয়ে ওপরের অংশ হলো, এনামেল। এটা মানব দেহের সবচেয়ে সহজ অংশ। এটা একবার ক্ষয় হলে আর পূরণ হয় না। এনামেল ক্ষয় হলে রোগী তেমন কিছু বুঝতে পারে না। খাদ্যকণা লেগে থাকলে সে হয়তো টুথপিক বা সেপটিপিন দিয়ে টেনে নিয়ে আসে। তখন তার ভালো লাগে।
এটি যারা খেয়াল করে না, তাদের খাদ্যকণা তখন আরো ভেতরে চলে যায়। যা একসময় ডেনটিনে চলে যায়। তখন দাঁত শিরশির করে। ডেনটিন বেশ মোটা একটি অংশ। ডেনটিনের পরে হলো ডেন্টাল পাল্প টিস্যু। এখানে রক্তনালি, নার্ভ, আর্টারি থাকে। এর যত কাছে যাবে তার স্পর্শকাতরতা তত বেশি হবে। ঠাণ্ডা খেলে বা মিষ্টি খেলে তার দাঁত শিরশির করে। পাল্পে যখন লাগে তখন কিন্তু পাল্পপাইটিস রোগটি হয়ে যায়। এই পাল্প আর ভালো হয় না।যখন পাল্পাইটিস হয়, তখন ব্যথা আরম্ভ হয়। এটি আক্রান্ত হলে, আংশিক বা সম্পূর্ণ পাল্প ফেলে দিতে হবে।
এই চিকিৎসার নাম হলো, রুট ক্যানেল থেরাপি। এটি অত্যন্ত সূক্ষ্ম, সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা। এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য প্রতি ছয় মাস পর পর দাঁতের চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তবে অনেক রোগীর ক্ষেত্রে কিন্তু এক বছর পরপর গেলেই হয়।দাঁত ক্ষয় হলে এটি যেন আটকে থাকে, তাই ফিলিং মেটেরিয়াল বসিয়ে দেয়া হয়। এতে ক্ষয়টি আর বড় হয় না, ভেতরের দিকেও যায় না। দেখা যায়, এতে রোগী সারা জীবন ভালো থাকে।
সূত্র: ডা. আব্দুল মালেক