দাদার স্বী’কারোক্তি নাতিকে হ’ত্যা’র লোম’হ’র্ষক বর্ণনা !!
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে শিশু তোফাজ্জলকে হ’ত্যা’র দায় স্বী’কার করেছে তোফাজ্জলের দাদার ফুফাতো ভাই (সম্পর্কে তোফাজ্জলের দাদা) রাসেল মিয়া। রি’মাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি পু’লিশের কাছে হ’ত্যার স্বী’কারো’ক্তি দেন।
গত মঙ্গলবার বিকালে আ’দা’লতে ১৬৪ ধারায় স্বী’কারোক্তিমূ’লক জবান’বন্দি’ও দেন রাসেল মিয়া। গতকাল বুধবার এই ঘটনায় জি’জ্ঞা’সাবাদের জন্য রি’মান্ডে নেয়া অন্য ৬ জনকেও পু’লিশ আদালতে হাজির করলে আদালত তাদেরকে জেল’হাজ’তে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
পু’লিশের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, রি’মান্ডে নিয়ে জি’জ্ঞা’সাবাদের সময় রাসেল মিয়া বলেছে, ঘটনার দিন তার খাটেই শুয়েছিল শিশু তোফাজ্জল। সে নিজে শোবার সময় হঠাৎ করে বিছানার উপর পড়লে তোফাজ্জল চি’ৎ’কার দিয়ে ওঠে। তোফাজ্জল যাতে চিৎ’কার না দেয় এজন্য সে তাকে (তোফাজ্জলকে) বালিশ চা’পা দিয়েছিল। এক পর্যায়ে তোফাজ্জল দম’বন্ধ হয়ে মারা যায়।
এই হ’ত্যা’কা’ণ্ডের পর সন্দেহ হওয়ায় শিশু তোফাজ্জলের চাচা-ফুফু এবং সম্পর্কে দাদা রাসেল মিয়াসহ ৭ জনকে আ’টক করে পুলিশ। প্রাথমিক জি’জ্ঞাসা’বাদে রাসেল মিয়াকে স’ন্দেহ করে পুলিশ। সোমবার সুনামগঞ্জের পু’লিশ সু’পার মো. মিজানুর রহমানের নে’তৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস টিম খু’ন হওয়া তোফাজ্জলের বাড়ী গিয়ে রাসেল মিয়ার শোবার ঘরের খাটের পাশের ছোট ওয়ারড্রব থেকে একটি র’ক্তভে’জা লুঙ্গি ও দুটি বালিশের কাভার উ’দ্ধার করে। এদিকে, ঐদিনই আটক ৭ জনের জি’জ্ঞা’সাবাদের জন্য আদালত রি’মান্ড মঞ্জুর করেন।
পু’লিশকে রাসেল বলেছে, তোফাজ্জলকে প্রা’ণে মা’রার উদ্দেশ্যে বালিশ চা’পা দেয়নি সে। কিন্তু সে মা’রা যাওয়ার পর সে হত’বুদ্ধ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে এই দো’ষ অন্যদের ঘাড়ে চাপা’নোর জন্য তোফাজ্জলের চোখ উ’পড়ে ফেলে, পা ভে’ঙে রাসেলের মৃতদের ব’স্তা’বন্দি করে রাখে সে।
সু’নাম’গঞ্জের কোর্ট ইন্স’পেক্ট’র আশেক সুজা মামুন জানান, রাসেল মিয়া জুডি’সি’য়াল ম্যা’জি’স্ট্রেট শুভ’দীপ পা’লের আদা’লতে ম’ঙ্গল’বার বিকালে ১৬৪ ধারায় স্বী’কা’রোক্তি’মূলক জবান’ব’ন্দি দিয়েছে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় আ’টক তোফাজ্জলের ফুফু শিউলী বেগম, ফুফা সেজাউল কবির ও তার বাবা কালা মিয়া, হাবিবুর রহমান হবি মিয়া, চাচা সালমান মিয়া ও লোকমান মিয়ার রি’মাণ্ড শেষ হওয়ায় বুধবার জু’ডি’সিয়াল ম্যা’জি’স্ট্রেট শুভ দীপ পালের আদালতে হাজির করা হয়। আ’দালত তাদের জেল’হা’জতে প্রেরণ করেন।
পু’লিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, রাসেল মিয়া স্বী’কা’রোক্তি’মূলক জ’বান’বন্দি দেওয়ায় অন্যদের রি’মান্ডে রাখার যৌক্তিক কারণ না থাকায় তাদেরকে বুধবার আদালতে হাজির করা হয়।
প্রসঙ্গত, তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের সীমান্ত’বর্তী বাসতলা গ্রামের জুবায়েল হোসেনের ছেলে ৭ বছরের শিশু ৪ দিন নি’খোঁ’জ ছিল। শনিবার ভোর রাতে শিশুর চোখ উ’প’ড়ে ফেলা পা ভাঙা অবস্থায় বস্তা’বন্দি লা’শ হবি মিয়ার ছেলে রাসেলের বাড়ীর পাশেই পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জুবেলের ফুফু-ফুফা ও চাচাসহ ৭ জনকে জি’জ্ঞা’সাবাদের জন্য ওই দিনই আ’টক করেছিল পুলিশ। পরে রাসেল মিয়া ও শিউলি বেগমের ৫ দিন এবং অন্য ৫ জনকে জি’জ্ঞা’সা’বাদের জন্য ৩ দিনের জন্য রি’মাণ্ডে নেয় পুলিশ।পরে এ ব্যাপারে নি’হ’তর পিতা জোবায়েল হোসেন একটি অজ্ঞা’তনামা হ’ত্যা মা’মলা করেন তাহিরপুর থা’নায়।