দেশের কোথায় কোথায় বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ !!
পৌষের শুরুতেই উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগসহ দেশের ২৩ জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরণের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে এই শৈত্যপ্রবাহ আরো কয়েকদিন থাকতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তীব্র শীত ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন। রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ও কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পঞ্চগড়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। কয়েক দিন ধরে এখানে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শীত ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত এখানকার জনজীবন। শীতে গরম কাপড়ের অভাবে বিপাকে পড়েছে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষেরা। হাসপাতালগুলোতেও বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। তবে ঠান্ডাজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা।
কুড়িগ্রামে চলছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে চরাঞ্চল ও নদ-নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা। শনিবার থেকেই রাজশাহীর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রোববারও তা অব্যাহত রয়েছে। এখানে রোববার সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার ছিল ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
একই চিত্র দিনাজপুরেও। প্রচণ্ড ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বইছে কনকনে হিমেল হাওয়া। এই শীতে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। তবে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আরও দুই থেকে তিন দিন স্থায়ী হতে পারে বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন। রংপুরে শৈত্যপ্রবাহে স্থবির হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখানকার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগীর সংখ্যা।