দেশের খবর

দেশে তৈরি করোনার ওষুধ জমা দেওয়া হবে কাল !!

প্রা’ণঘা’তী করোনা ভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় আশার আলো দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গিলিয়েড সায়েন্সেস কম্পানির তৈরি ‘রেমডেসিভির’ ওষুধ। যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) করোনার ওষুধ হিসেবে রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই উৎপাদন শুরু করল বাংলাদেশ।

এরই মধ্যে ওষুধটির উৎপাদন সম্পন্ন করেছে দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। উৎপাদনের সব প্রক্রিয়া শেষ করার পর গতকাল শুক্রবার সকালে শুরু হয়েছে বাজারজাত করার প্রস্তুতি।নির্মাতারা বলছেন, প্রস্তুতকৃত স্যাম্পল আগামীকাল রবিবার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে (এনসিএল) জমা দেওয়া হবে। তারা অনুমোদন দিলে কয়েকদিনের মধ্যেই এটি বাজারে আসবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী সপ্তাহেই ইনসেপ্টা এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসও রেমডেসিভির উৎপাদনে যাচ্ছে। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসহ আরো সাতটি বাংলাদেশি ওষুধ কম্পানি এই ওষুধ উৎপাদনের সরকারি অনুমতি পেয়েছে।

এসকেএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা দেশবাসীকে এই সুখবর দিতে চাই যে, বিশ্বে করোনার একমাত্র কার্যকর ওষুধ বলে স্বীকৃত জেনেরিক রেমডেসিভির উৎপাদনের সব ধাপ আমরা সম্পন্ন করেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ঔষধ প্রশাসন গত মার্চ মাসে ওষুধটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়। ঔষধ প্রশাসনের অনুমোদনের পরই আমাদের ফর্মুলেশন বিজ্ঞানীরা মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে রেমডেসিভির নিয়ে কাজ শুরু করেন। দুই মাস ধরে এসকেএফের কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে এত কম সময়ে এটা উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। ওষুধের মূল উপাদান সরবরাহকারীদের সঙ্গে চুক্তি করে পর্যাপ্ত কাঁচামালের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছি আমরা।’

এদিকে বাংলাদেশ ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, ‘আপাতত আমরা সাতটি কম্পানিকে রেমডেসিভির রপ্তানি করার অনুমতি দেব না। প্রথমত, তাদেরকে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করতে হবে। এরপর রপ্তানির বিষয়টি আমরা বিবেচনা করব।’

বেক্সিমকোর চিফ অপারেটিং অফিসার রব্বুর রেজা রয়টার্সকে বলেছেন, বেক্সিমকো এই মাসেই ওষুধ উৎপাদনে যাচ্ছে। আর প্রথমেই সরবরাহ করা হবে দেশে। মানুষের শিরায় প্রবেশ করিয়ে এই ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। প্রতি ডোজ ওষুধের দাম পড়বে পাঁচ-ছয় হাজার টাকা। আর গুরুতর অসুস্থ রোগীদের মোট পাঁচ থেকে ১১ ডোজ প্রয়োজন হতে পারে। রোগের তীব্রতার ওপর নির্ভর করবে রোগীর কতটুকু ওষুধ প্রয়োজন হবে।

ইনস্টিটিউট ফর ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক রিভিউ (আইসিইআর) কোনো ওষুধের কার্যকারিতার ভিত্তিতে যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে। সংস্থাটি বলছে, ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় রেমডেসিভির ভালো কার্যকারিতা দেখালে ১০ দিনের কোর্সের দাম পড়বে সর্বোচ্চ চার হাজার ৫০০ ডলার বা তিন লাখ ৮২ হাজার টাকা। তবে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে দাম এতটা হবে না।

J A Suhag

Local News: J A Suhag writes Local News articles for industries that want to see their Google search rankings surge. His articles have appeared in a number of sites. His articles focus on enlightening with informative Services sector needs. he holds the degree of Masters in Business and Marketing. Before he started writing, he experimented with various professions: computer programming, assistant marker, Digital marketing, and others. But his favorite job is writing that he is now doing full-time. Address: 44/8 - North Dhanmondi, Dhaka Email: [email protected]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button