দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রি হওয়া স্ত্রীকে উদ্ধার করলেন স্বামী!
স্বামী পুলিশের নিখোঁজ হওয়ার প্রায় এক মাস পর দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে স্ত্রীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মহিলা গাজীপুর মহানগরের বাসন থানা এলাকায় বসবাস করতেন। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১০ টার দিকে গোয়ালন্দ ঘাট থানা ও বাসন থানার যৌথ অভিযানে শিরিন বারওয়ালীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ করা হয়েছে যে বাড়িওয়ালা তাকে জোর করে পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত করত। গৃহবধূ শিরিন বা ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
জানা গেছে, গত মাসের ১১ তারিখে গৃহবধূ নিখোঁজ হন। পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি কাজের জন্য বাড়ি ছেড়েছিলেন। তারপর সে পাচারের বলয়ের খপ্পরে পড়ে। পরে এই দল তাকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর এক শিরিন বাড়িওয়ালার কাছে বিক্রি করে। শিরিনের বাড়িওয়ালা তাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে এবং তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। গৃহবধূর স্বামী মঙ্গলবার গাজীপুরের বাসন থানায় নিখোঁজ ব্যক্তির ডায়েরি করেছেন। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বাসন থানা জানতে পারে গৃহবধূকে দৌলতদিয়া পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে। এরপর বাসন থানা ও গোয়ালন্দ ঘাট থানা যৌথ অভিযান চালিয়ে গৃহবধূকে শিরিন বারওয়ালীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে।
এ সময় গৃহবধূ সেখান থেকে পালিয়ে যান। বাসন থানায় মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আবদুল্লাহ আল তাইবীর জানান, গাজীপুরের বাসন থানা ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার একটি যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে ওই গৃহবধূকে যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার করা হয়। গৃহবধূ একটি পাচারের রিং দ্বারা ধরা পড়ে এবং শিরিনের বাড়িওয়ালার কাছে বিক্রি হয়। তাকে গাজীপুরের বাসন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বারিওয়ালীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।