‘দ্রুত রাজাকারের তালিকা সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী’ !!
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্রুত ভুল সংশোধন করে রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজাকারের তালিকায় ভুল-ত্রুটি নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীও এ তালিকা নতুন করে যাচাই-বাছাই করে সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং এটি নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই।
প্রসঙ্গত একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীকে নানাভাবে সহায়তাকারী ব্যক্তিদের প্রথম দফা তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত ১০ সহস্রাধিক রাজাকারের এ তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নামও ঢুকে পড়েছে। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে দেশব্যাপী। তালিকা বাতিলের দাবি উঠছে বিভিন্ন ফোরাম থেকে। আজ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানালেন, ওই তালিকা সংশোধন করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় জাতীয় সম্মেলন সর্ববৃহৎ হবে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে নবীন ও প্রবীণের সমন্বয় ঘটানো হবে। যারা আধুনিক ও সুসংগঠিত আওয়ামী লীগ গড়ে তুলবেন।
নেতৃত্ব নিয়ে যেন আওয়ামী লীগে অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু না হয় সেদিকে দৃষ্টি দিতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। ‘আমাদের নিজেদের মধ্যে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা রয়েছে ও আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। এটি দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা। কিন্তু সেটি নিয়ে যেন কোনো অসুস্থ প্রতিযোগিতা না হয়। যারা নোংরা প্রচারণা করছেন, তাদের চিহ্নিত করতে হবে’- বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে দায়িত্ব দেবেন সবাই তাকে মেনে নেবেন জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ আওয়ামী লীগের জন্য অপরিহার্য নয়। আমরা তার নেতৃত্বের পেছনে থাকব। তিনি যাকে যে দায়িত্ব দেবেন, তা মেনে নিতে হবে।
বৈঠকে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান প্রমুখ।
১৫ ডিসেম্বর একাত্তরের রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও স্বাধীনতাবিরোধীসহ ১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ তালিকায় ভাতাপ্রাপ্ত কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার নাম থাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর থেকে সারাদেশে এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।