ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে যেভাবে ১৭ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন রাগীব আহসান!
ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে তিনি শরিয়াহ ভিত্তিক সুদমুক্ত বিনিয়োগের ধারণা প্রচার করে ১০,০০০ গ্রাহকের কাছ থেকে ১১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেন। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এটাই দাবি করেছে।
র্যাব -১০ এর একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার শাহবাগ থানার তোপখানা রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাগিব আহসান এবং তার সহযোগী আবুল বাশার খানকে (৩৮) গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে ভাউচার বই এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
তার অবৈধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানাতে শুক্রবার বিকেলে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, রাগীব আহসান ১৯৮৬ সালে মাদ্রাসায় পড়াশোনা শুরু করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে পাস করেন। ২০০০ সালে তিনি খুলনার একটি মাদ্রাসা থেকে মুফতির ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি মসজিদের ইমামতি করেন।
২০০৬-০৭ সালে ইমাম হওয়ার পাশাপাশি, রাগিব ৯০০ টাকা বেতনে এহসান এস বহুমুখী নামে একটি এমএলএম কোম্পানিতে কাজ করেন। ২০০৬ সালে তিনি এহসান রিয়েল এস্টেট নামে একটি এমএলএম কোম্পানি শুরু করেন। তিনি সেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১০,০০০ গ্রাহকদের কাছ থেকে ১১০ কোটি টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন।
রাগীবের তত্ত্বাবধানে মাঠ পর্যায়ের ৩০০ জন কর্মী ছিলেন। যার কোন বেতন ছিল না। যাইহোক তাদের বিনিয়োগের পরিমাণে ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার কথা ছিল। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে রাগিব দ্রুত গ্রাহকদের সংখ্যা বাড়াতে সক্ষম হয়েছিল। তিনি সকল কর্মী এবং গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করেছেন। কর্মচারী-গ্রাহকদেরকে ওই লভ্যাংশ দেয়নি।