ধর্ষণের শিকার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী, পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা
শেরপুরের শ্রীবর্দীতে ধর্ষণের পর তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পুরান শ্রীবরদী গ্রাম থেকে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার প্রতিবেশী আব্দুল হাকিম (৫০) ঘটনাটি উস্কে দিয়েছে। ভিকটিমের বাবা ধর্ষক আবদুল হাকিম ভুসি এবং আরও তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
ভিকটিমের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নয়ানি শ্রীবরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুটি বাড়িতে থাকে। প্রায় পাঁচ মাস আগে প্রতিবেশী আব্দুল হাকিম ভূষীর স্ত্রী ও মেয়ে ঢাকায় থাকতেন। এই উপলক্ষে, তিনি শিশুটিকে তার বাড়িতে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। শিশুটি গর্ভবতী। ঘটনার প্রায় ৫ মাস পর পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে নিয়ে ঢাকায় যাবেন।
এ ধরনের খবর পেয়ে আবদুল হাকিম ভূষি সন্তানের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন। পরে গ্রামের সালিশে তিনি সন্তানের গর্ভাবস্থার কথা উল্লেখ করেন। তা করতে অনিচ্ছুক, ভুক্তভোগীর পরিবার শিশুটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। তার গর্ভাবস্থার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
ভিকটিমের বাবা ধর্ষকসহ তিন জনের বিরুদ্ধে এবং চারজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। শ্রীবর্দী থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।