দেশের খবর

ধেয়ে আসছে আম্ফান, প্রস্তুত ৬১০ আশ্রয়কেন্দ্র ও ৪২ মেডিক্যাল টিম !!

প্রা’ণঘাতী করোনা ভা’ইরাসের মধ্যে সাগরে সৃষ্ট হয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এদিকে সপ্তাহ খানেক পরই ঈদ। এমন পরিস্থিতি সামলাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে উপকূলীয় জেলা বরগুনা জেলা প্রশাসনকে।সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে সাইক্লোন শেল্টারে দুর্গতদের আশ্রয় প্রদানের জন্য জেলায় ৫০৯টি আশ্রয়কেন্দ্রের সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে আরো ১০১টি। সবমিলিয়ে ৬১০টি আশ্রয় কেন্দ্র এখন প্রস্তুত। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ইতিমধ্যে জেলার ছয় উপজেলায় ২৫ লাখ টাকা ও ২০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বরগুনার সাতটি স্থানে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে যা মেরামতের জন্য পানি উন্নয়নবোর্ডের চারটি টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। জরুরি বিদ্যুৎ দ্রুততার সঙ্গে সচল রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগেও চারটি টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)-এর ছয় হাজার ৩৩০ জন স্বেচ্ছাসেবী কর্মীসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় সাড়ে সাত হাজার স্বেচ্ছাসেবী তাদের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন। কৃষকের বিভিন্ন ফসল যেমন ধান, মুগ ডাল, তরমুজ, সূর্যমুখী এসব ফসলের শতকরা ৮০ ভাগই ঘরে তুলতে পেরেছে কৃষক। তবে ভুট্টা এবং চিনা বাদামের অধিকাংশই এখনো ক্ষেতে রয়ে গেছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি সামলাতে জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিটি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে তাঁরা দায়িত্ব পালন করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলায়। জেলার ৪২টি ইউনিয়নে ৪২টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। বিশেষ প্রস্তুতি রাখা হয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালেও।

আজ মঙ্গলবার বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী করণীয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন. নৌবাহিনীর কমান্ডার ইমরানসহ সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।

বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, অধিকাংশ মৎস্য শিকারী ট্রলারই বঙ্গোপসাগর থেকে নিরাপদ উপকূলে ফিরে এসেছে। কিছু যা এখনো রয়েছে তাও সন্ধ্যা নাগাদ উপকূলে ফিরবে। তবে নিষেধ অমান্য করেও কিছু কিছু ট্রলার এখনো দুবলার চর, আলোরকোন এবং সুন্দরবনের কিছু কিছু জায়গায় নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে যাতে আম্ফান শেষ হওয়ামাত্র সাগরে জাল ফেলতে পারেন জেলেরা। এসব ট্রলারগুলো হয়তো ঝুঁকিতেই থেকে যাবে।

সূত্র- বিডি২৪রিপোর্ট

J A Suhag

Local News: J A Suhag writes Local News articles for industries that want to see their Google search rankings surge. His articles have appeared in a number of sites. His articles focus on enlightening with informative Services sector needs. he holds the degree of Masters in Business and Marketing. Before he started writing, he experimented with various professions: computer programming, assistant marker, Digital marketing, and others. But his favorite job is writing that he is now doing full-time. Address: 44/8 - North Dhanmondi, Dhaka Email: [email protected]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button