নামের মিলে সাতদিন পর জেল খেটে মুক্তি পেলেন চা বিক্রেতা !!
নামের সঙ্গে মিল থাকায় করাতকলের মালিকের পরিবর্তে গ্রেফতার হওয়া রফিকুল ইসলাম সাতদিন পর জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে তাকে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
গাজীপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মীর রকিবুল হক জানান, গাজীপুর জেলা বন আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ নাজমুন্নাহার বৃহস্পতিবার রফিকুল ইসলামকে মুক্তির আদেশ দেন। এর আগে বুধবার ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশের কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন চায় আদালত। মামলার সঙ্গে চা বিক্রেতা রফিকুল ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই মর্মে থানা পুলিশ প্রতিবেদন জমা দিলে বৃহস্পতিবার আদালত মুক্তির আদেশটি দেন।
গাজীপুর জেলা কারাগারের জেলার গোলাম মোস্তফা জানান, আদালতের আদেশের কপি পাওয়ার পর সম্ভাব্য সব ধরনের যাচাই-বাছাই করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে রফিকুল ইসলামকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তার স্বজনেরা কারাগারের গেট থেকে রফিকুল ইসলামকে গ্রহণ করেন।
ছেলেকে পেয়ে রফিকুল ইসলামের বাবা নূর মোহাম্মদ বলেন, শুধু পুলিশ নয় কারও ভুলের কারণে কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন দুর্ভোগের শিকার না হয়।প্রসঙ্গত, বন মামলায় পরোয়ানাভুক্ত এক আসামির নামের সঙ্গে মিল থাকায় গত ১৭ জানুয়ারি রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে শ্রীপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া ওই যুবক গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড (দারগারচালা) এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে রফিকুল ইসলাম।
শ্রীপুর বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, লাইসেন্সবিহীন করাতকলে গজারি গাছ চেরাই করার অভিযোগে ২০১৫ সালের ৮ জুলাই শ্রীপুর সদর বন বিট অফিসার সহিদুর রহমান কেওয়া পশ্চিমখণ্ডের বেগুনবাড়ি এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে রফিকুল ইসলামকে আসামি করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বন) আদালতে একটি মামলা করেন। এ মামলায় রফিকুলের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে শ্রীপুর থানাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন বন আদালত।
অপরদিকে এ মামলার প্রকৃত আসামি নূর মোহাম্মদের ছেলে রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি করাতকলের ব্যবসা করেন। মামলাটি তার বিরুদ্ধেই করা হয়েছিল। তিনি উচ্চ আদালত থেকে তিনি জামিনে রয়েছেন।