দেশের খবর

নিঃসন্তান দম্পতি জন্ম দিলো একসঙ্গে ৪ সন্তান!

যশোরের বাঘারপাড়ার বাসিন্দা লক্ষ্মিয়া খাতুন (৩০)। বিয়ের ৮ বছর পর তিনি একসঙ্গে ৪টি সন্তানের জন্ম দেন। যশোর মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক নার্গিস আক্তার সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে পৌর শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশন করেন। এটি ২ পুত্র এবং ২ কন্যার জন্ম দেয়। বর্তমানে ৪ টি নবজাতক সুস্থ আছে বলে তিনি জানান। খবরটি পুরো হাসপাতাল জুড়ে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে।

একদিকে, বিয়ের দীর্ঘ ৮ বছর ধরে সন্তান না হওয়া, অন্যদিকে, পরপর ৪ টি সন্তান। হাসপাতালের কর্মচারী থেকে শুরু করে দম্পতির আত্মীয়স্বজন এবং উপস্থিত লোকজন, বিভিন্ন অনুভূতি লক্ষ্য করা গেছে। হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় অপারেশন থিয়েটারের দায়িত্বে থাকা নার্স এবং দম্পতি এবং তাদের আত্মীয়দের মিষ্টি মুখের জন্য উৎসাহিত করেন। একযোগে ৪ টি সন্তানের জন্মের খবরে হাসপাতালের আশপাশে ভিড় করছেন বিভিন্ন রোগীর আত্মীয় -স্বজন।

নবজাতকের চাচা বাহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সন্তান না থাকায় ভাই ভাবীর পরিবারে শান্তি নেই। প্রায় জাগতিক ঝগড়া ছিল। কবিরাজ ডাক্তার যশোর-নড়াইলে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করা হয়েছে। তাতেও কোন লাভ হয়নি। আল্লাহর ইচ্ছায় আমাদের পরিবারের প্রদীপ বহুদিন পর প্রথমবারের মত এসেছিল। আমাদের পরিবার এবং ভবিষ্যতের পরিবার এখন সবার চেয়ে সুখী বোধ করছে। নবজাতকের বাবা আবুল বাশার বলেন, আমি সন্তান না পাওয়ার যন্ত্রণা বুঝতে পারি না। আজ জীবনের অনেক স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আপনারা সবাই সন্তানের জন্য দোয়া করবেন।

নবজাতকের মা লক্ষ্মিয়া খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, “আমার অনেক দিন ধরে সন্তান হয়নি।” আল্লাহর কৃপায় নিরাময় হয়েছে, আমাদের ঘর আলোকিত করেছে এবং সন্তান জন্ম দিয়েছে। করোনায় একটি সন্তানের জন্ম আমাদের জন্য একটি বড় উত্তেজনার বিষয় ছিল। কিন্তু সব টেনশন দূর করার পর চারটি শিশু এসেছে সুখের বার্তা নিয়ে। আমি আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া আদায় করছি। তিনি সিজারিয়ান বিভাগের জন্য গাইনোকোলজিস্ট নার্গিস আক্তারকেও ধন্যবাদ জানান।

Jannat Tia

Hey! I'm Jannat Tia. Bangladeshi Content creator and Content writer. I would like to write about trending topic and news of National and International

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button