নেপাল ছাড়াও আরো ১৩ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস !!
ইসরায়েলসহ এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার অন্তত ১৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে চীনের প্রাণঘাতী ‘করোনা ভাইরাস’। নতুন এ ভাইরাসে চীনে এখন পর্যন্ত ৬৬ জনের মৃত্য ও এক লাখের বেশি আক্রান্ত হলেও অন্যান্য দেশে তেমনটা ঘটেনি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, চীন থেকে ফেরা ব্যাক্তিদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার, ইউরোপও আমেরিকার অন্তত ১৩ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব দেশের মধ্যে নেপাল, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশও রয়েছে। দেশের পর দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় মহামারীর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে গোটা বিশ্বে।
রয়টার্স ও জিউস প্রেস জানিয়েছে, এ ভাইরাস যাতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য পঞ্চাশটিরও বেশি দেশের বিমানবন্দরে চীন থেকে আসা যাত্রীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি নানা ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আক্রান্ত কোনো রোগীর সন্ধান মিললে দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা ছাড়াও বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।চীনা গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের ও মৃতের সংখ্যা প্রতি দিনিই বাড়ছে। নতুন নতুন এলাকায় এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এতে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন।
দেশটির সরকারি হিসাবে বলা হয়েছে, নতুন ধরনের এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা অর্ধশতে দাঁড়ালেও আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজারের কাছাকাছি। ভাইরাসটি অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় এমন ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। তবে বেসরকারি হিসেব অনুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে।
প্রাণঘাতী এ ভাইরাস এমন এক সময় ছড়িয়ে পড়ল যখন চীনা পঞ্জিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চান্দ্রবর্ষ উদযাপনের সময় ঘনিয়ে এসেছে। এতে চন্দ্রবর্ষের অনেক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় উহান শহরে মাত্র সাত দিনে তৈরি করা হচ্ছে দুটি নতুন হাসপাতাল। এ শহরেই ৯০ হাজারের বেশি মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় একজন নার্স।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া নাক, সাইনাস বা গলার উপরিভাগে সংক্রমণ ঘটায়। নতুন এ ভাইরাসের সঙ্গে প্রাণঘাতী সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের (সার্স) মিল রয়েছে, যা অনেকটা ফ্লুয়ের মতো। ২০০২ সালে সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে ৭০০ জন মানুষের মৃতু হয়।