উপায় নাই, নৌকায় চড়তেই হবে – নৌকায় চড়তেই হবে !!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির নেতৃত্বশূন্যতার প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সমর্থন বৃদ্ধি হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, যার প্রতিফলন স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে দেখা গেছে। বিএনপির আজকে সেই দশা। তারা যত বক্তৃতা দিক আর যত কথাই বলুক না কেন, তাদের নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি যখন একটা দলের নেতা, তখন তাদের ওপর মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস কিছুই থাকে না।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা ও একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা এ কথা বলেন।নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির চেয়ারপারসনকে উদ্দেশ করে বলেন, সেতুতে না উঠে নৌপথে যেতে হলে নৌকাতেই উঠতে হবে। নিজস্ব অর্থায়নে সরকার পদ্মা সেতু করেছে, প্রশংসা তো করলই না, খালেদা জিয়া বলেছিলেন, জোড়াতালির পদ্মা সেতুতে কেউ উঠবে না। সেতুতে না উঠে নৌপথে যেতে হলে নৌকাতেই উঠতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী হাস্যরস করে বলেন, উপায় নাই, নৌকায়ই চড়তে হবে। আমাদের নৌকা অনেক বড়। সবাইকে নেব। কিন্তু বেছে নেব। কেউ যেন নৌকা ফুটো করতে না পারে।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মানুষ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে যেহেতু সেবা পেয়েছে, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, দেশের মানুষের কল্যাণ হচ্ছে, কাজেই স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আওয়ামী লীগ অর্জন করেছে। যার প্রতিফলন আমরা দেখলাম আমাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে অনেক কথা, আমাদের দুর্ভাগ্য ও হাসি পায় যে, যাদের গায়ে দুর্নীতির ছাপ, যারা ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশ ৫ বার দুর্নীতিকে বিশ্ব চ্যম্পিয়ন হয়েছে সময়, এতিমের অর্থ আত্মস্যাতের দায়ে যাদের নেতাকে কারাবরণ করতে হয়, ১০ ট্রাক অস্ত্র পাচারের মামলা রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে বিরোধী দলের নেতাকে হত্যার প্রচেষ্টার মামলায় যারা সাজাপ্রাপ্ত তারা যদি জনগণের নেতৃত্বে থাকে, তবে সেই দল জনগণের কাজ করবে কিভাবে। মানুষ এখন আন্তরিকভাবে ভোট দিচ্ছে। এখন ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হচ্ছে, যেখানে কারচুপি করার কোনো সুযোগ নাই। যার যার ভোট সে নিজে দিতে পারে।
অতীতের নির্বাচনকালীন প্রহসনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ১০টা হোন্ডা ২০টা গুণ্ডা নির্বাচন ঠাণ্ডা’-সেদিন আর এখন নেই বা ভোট বন্ধ থাকলেও একজনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হলো- সেদিনও নেই। হ্যাঁ, মেয়র নির্বাচনে কমিশনারদের মধ্যে কখনো কখনো গোলমাল হয়, সেটা আলাদা। অতীতের নির্বাচনগুলো কেমন ছিল সেই প্রশ্ন উত্থাপন করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাদের গায়ে হাজারো কাদার ছিটা তারা আবার বড় কথা বলে কোন মুখে? সেটাই আমার প্রশ্ন।
তিনি বলেন, আজকাল অনেক কথা এবং অনেক সমালোচনা শুনি, অনেক প্রশ্ন বিএনপি নেতারা করেন। হ্যাঁ প্রশ্ন করেন, সমালোচনা করেন; কিন্তু জানি না তারা আয়নায় নিজেদের চেহারাটা ভালোভাবে দেখেন কি না। খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, মেকআপের জন্য চেহারা আয়নায় দেখলেও নিজেদের কাজটাকে তারা দেখেন না।
সূত্র- কালের কন্ঠ