পদ্মায় হেলে পড়া মসজিদে নামাজ আদায় !!
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়নের হাইয়ারপাড় গ্রামের একমাত্র জামে মসজিদ হাইয়ারপাড় আল-মদিনা জামে মসজিদে ঝুঁকি নিয়ে নামাজ আদায় করছেন স্থানীয় মুসল্লিরা।
বিগত ভরা বর্ষায় উপজেলার পদ্মা পারের হাইয়ার গ্রামসহ আশে-পাশের গ্রামের প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন শুরু হয়। এতে হাইয়ার পাড় মসজিদটির পেছনের বেশ কিছু অংশের মাটি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেলে মসজিদটি নদীর দিকে কিছুটা হেলে পরে।
কিন্তু বর্তমানে পদ্মার পানি দ্রুত কমতে শুরু করায় ওই মসজিদটি ইতোমধ্যে পদ্মা নদীর দিকে অনেকটা হেলে পরেছে। ওই অঞ্চলে আর কোনো মসজিদ না থাকায় হেলে পড়া মসজিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা।
শুধু জীবনের ঝুঁকি নয়, নামাজে দাঁড়ানোর সময় নিজে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারলেও সেজদায় যেয়ে দেহের ভারসাম্য রাখা অনেক কষ্টের হয়ে পরে। রুকুতে গেলে কিছুটা হেলে পড়তে হলেও সেজদায় গেলে মনে হয় পুরো দেহ একেবারে গড়িয়ে পরবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মার গ্রাসে মসজিদের মেজের অংশসহ বিভিন্ন অংশে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে।
মসজিদের ঈমাম আব্দুল হাই জানান, নামাজের জন্য জামাত বাধা হলে সেই সময় মুসল্লিদের মনে বিপদের শঙ্কা না থাকলেও স্বজনরা উৎকণ্ঠায় থাকেন। সবকিছু ছাপিয়ে পাঁচ ওয়াক্তেই জামাতের ব্যবস্থা হয় প্রতিদিন। তবে সেই জামাতে মুসল্লির সংখ্যা আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে।
মুসল্লি খালেক শেখ বলেন, দিনের পর দিন যেভাবে মসজিদটি হেলে পরছে তাতে যেকোনো সময় পুরোটা ধসে পরতে পারে পদ্মার বুকে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি লতিফ হাওলাদার বলেন, নতুন করে অন্য জায়গায় কোনো রকমে একটি মসজিদ নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু অর্থাভাবে তা করা সম্ভব হচ্ছে না। মাত্র চার বছর আগে আধুনিক আদলে তৈরি করা মসজিদ ভবনটি এতো অল্প সময়ে পদ্মার থাবায় ভেঙে পরবে তা ভাবতে পারেনি।
টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার জানান, মসজিদ এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হলে আমরা বেশ কিছু বালু ভর্তি ব্যাগে মসজিদ রক্ষায় ওই স্থানে ফেলেছি। সরেজমিনে পরিদর্শন করে আমরা ওই এলাকার মুসল্লিদের জন্য একটি ব্যবস্থা নেবো।