পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্বামীর লিঙ্গ ক’র্তন করলো স্ত্রী, অতঃপর…
নওগাঁর ধামইরহাটে স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্বামীকে অজ্ঞান করে লিঙ্গ ক’র্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্ত্রী পলাতক রয়েছে। আহত স্বামী মুমূর্ষু অবস্থায় ধামইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের দেউলবাড়ী গ্রামে।
আহতের নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, দেউলবাড়ী গ্রামের মৃত ইনসান আলীর ছেলে হারুনুর রশিত (৪৫) তার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৩৮) মোবাইলে অন্যত্র কথা বলতো, বিষয়টি জানতে পেরে স্ত্রীকে নিষেধ করা সত্বেও পুনরায় পরপুরুষের সাথে মোবাইলে কথা বলায় মাস খানেক আগে স্ত্রীর ফোনটি কেড়ে নেয় স্বামী হারুনুর রশিদ। সেইথেকে স্বামী-স্ত্রী দ্বন্দের সূত্রপাত হয়।
এমতাবস্থায় ৯ মে দিবাগত রাতে স্ত্রী ফরিদা বেগম কৌশলে স্বামীকে একাধিক বার রাতের খাবার খেতে অনুরোধ করে এবং এক পর্যায়ে বাধ্য করে পোলাও খাইয়ে দেন। এতে তাৎক্ষণিকভাবে স্বামী হারুনুর রশিদ অজ্ঞান হলে মধ্যরাতে ধারালো হাসুয়া দিয়ে স্বামীর লিঙ্গে কোপ মারে। জানতে পেরে স্বামী প্রাণ ভয়ে মায়ের ঘরে গেলে স্ত্রী পালিয়ে যায়। পরে রাতের তাকে ধামইরহাট হাসপাতালে নিয়ে আসলে আংশিক কেটে যাওয়া লিঙ্গে একাধিক সেলাই দেন ক’র্তব্যরত চিকিৎসক। তাকে রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন হাসপাতাল ক’র্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় আহতের ভাই হাফেজ উদ্দিন বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় অভিযোগ করেছে মর্মে আহত হারুনুর রশিদ জানায়। বর্তমানে অসহায় স্বামী ধামইরহাট হাসপাতালে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন।ধামইরহাট থানার ওসি শামীম হাসান সরদার বলেন, এটি স্বামী-স্ত্রী আভ্যন্তরিন দ্বন্দের কারণে এই ঘটনা অভিযোগ হাতে পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।