পরিবর্তিত হল সব ট্রেনের স্টপেজ – মানতে হবে শর্ত !!
করোনা ভা’ইরাসে কারণে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর সীমিত আকারে ফের চালু হচ্ছে ট্রেন। তবে এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি ও কিছু নির্দেশনা মানতে হবে কর্তৃপক্ষকে। শনিবার (৩০ মে) রেলওয়ে সূত্র জানায়, বিমানবন্দর, টঙ্গি ও গাজীপুর স্টেশনে ট্রেন থামবে না। সবাইকে কমলাপুর থেকেই ট্রেনে উঠতে হবে। আরও জানানো হয়, স্লিপার বার্থের বিছানাপত্র দেয়া হবে না। ট্রেনে খাবার বিক্রি বন্ধ। এক কামরা থেকে অন্য কামরায় বিচরণ করা যাবে না। ট্রেন ছাড়ার এক ঘণ্টা আগে স্টেশনে না আসলে ট্রেনে উঠতে দেয়া হবে না। হকার, ভিক্ষুক প্রবেশ করবে না।
সুবর্ণ, সোনার বাংলা, কালনী, পঞ্চগড়, লালমনি, বণলতা, উদয়ন ও চিত্রা এক্সপ্রেস এই ৮টি ট্রেন দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। তবে আগামী ৩ জুন থেকে চালু হবে তিস্তা, বেনাপোল, নীলসাগর, রূপসা, কপোতাক্ষ, মধুমতি, মেঘনা, কিশোরগঞ্জ, উপকূল, ব্রহ্মপুত্র ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস এই ১১টি ট্রেন।সব টিকিট অনলাইনে এবং ট্রেনের মোট আসনের অর্ধেক টিকিট বিক্রি হবে। এক সিট পর পর যাত্রী বসবে। টিকিটের দাম বাড়ছে না। প্রতিটি ট্রেনের সময়সূচি আগের মতই থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন ছাড়া স্টপেজ স্টেশন রাখা হবে না।
এদিকে দুপুরে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, প্রথম ধাপে ৮ জোড়া ট্রেন চললেও, দ্বিতীয় ধাপে ৩ জুন থেকে আরো ১১ জোড়া ট্রেন চালানো হবে। ১৫ জুন পর্যন্ত গণপরিবহন ও ট্রেন চলাচলের প্রভাব সরকার পর্যবেক্ষণ করবে। করোনা ভা’ইরাস পরিস্থিতি দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।তিনি বলেন, বিমানবন্দর স্টেশন, জয়দেবপুর ও নরসিংদী স্টেশনে এখন থেকে কোনো ট্রেন থামবে না। শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে অর্ধেক আসনের টিকিট বিক্রি করা হবে।