পাঁচদিন ধরে দেখা মিলেনি নেই সূর্যের !!
হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় কাঁপছে কিশোরগঞ্জ জেলার মানুষ। পৌষের প্রথম সপ্তাহে হঠাৎ করেই এবার শীতের দাপট বেড়েছে কিশোরগঞ্জে। কাঁচের মতন স্বচ্ছ শিশিরবিন্দুগুলো ভর করেছে সবুজ প্রকৃতিতে। গত কয়েকদিনের শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত পাঁচদিন এই জেলায় সূর্যের দেখা মিলেনি। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর ১১ টা থেকে ঘন কুয়াশা কেটে গেলেও বাহিরে বইছে হিমেল হাওয়া। দিনের বেলায় যানবাহনগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।তীব্র শৈত্য প্রবাহে জনজীবনে দুর্ভোগ বেড়েছে।
সর্বত্র হঠাৎ শীত জেঁকে বসায় খেটে খাওয়া মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। অফিসগামী মানুষ গায়ে গরম কাপড়, কান টুপি ও গলায় মাফলার পেঁচিয়ে অফিস করছেন। সকালে তারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন একটু দেরি করে, তেমনি ঘরেও ফিরছেন খুব দ্রুত। সন্ধ্যার পর বা সারাদিন অন্যান্য দিনের তুলনায় শহরের বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম দেখা যাচ্ছে খুব কমই। প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ-ই ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।
স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ বেড়েছে আরও বেশি। ভোরে তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে যেতে হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। শীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে গেছে তুলনামূলক হারে। শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে অনেক জায়গায় ভীড় করে গ্রামবাসীকে আগুন পোহাতেও দেখা গেছে। তীব্র শীতের কারনে শহরের বিভিন্ন মার্কেটের দোকানে ঘুরে দেখা গিয়েছে গরম কাপড় কিনতে সব শ্রেণি পেশার মানুষ ভীড় জমিয়েছেন। দোকানিরাও বেশ আনন্দে-উল্লাশে গরম কাপড় বিক্রি করছেন। তবে দামী দামী দোকানের থেকে ফুটপাতের দোকান গুলোতে সবছেয়ে বেশি ভীড় দেখা গিয়েছে।