পাকিস্তানের হিন্দুরাও প্রত্যাখ্যান করলো ভারতের প্রস্তাব !!
নতুন আইনের অধীন ভারতের নাগরিকত্বের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রিষ্টান ও শিখ সম্প্রদায়। প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুদের হয়রানির কথা উল্লেখ করে তাদের নাগরিকত্ব দিতে নতুন আইন প্রণয়ন করেছে ভারতের হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার।
এতে এই তিন দেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, পারসি ও জেইন সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও আনাদুলুর খবরে এসব তথ্য জানা গেছে।
পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের পৃষ্ঠপোষক রাজা আসগর মাঙলানি আনাদুলু নিউজ এজেন্সিকে বলেন, ‘পাকিস্তানের হিন্দু সম্প্রদায় সর্বসম্মত ভাবে এই আইন প্রত্যাখ্যান করছে। এই আইন ভারতকে শুধু ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতেই বিভক্ত করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পাকিস্তানের পুরো হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি সর্বসম্মত একটি বার্তা হলো আমরা এই ধরনের নাগরিকত্বের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছি। একজন সত্যিকার হিন্দু কখনোই এই ধরনের আইন সমর্থন করবে না। কেননা এই আইন ভারতের নিজস্ব সংবিধানই লঙ্ঘন করেছে।’
পাকিস্তানের সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটের খ্রিস্টান সদস্য আনোয়ার লাল ডিন বলেছেন, এই আইন করা হয়েছে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর উদ্দেশে। পাকিস্তান পিপলস পার্টির ওই নেতা বলেন, ‘এই আইন মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা এই আইন পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছি।’
পাকিস্তানের শিখ সম্প্রদায়ও এই আইনের বিরোধীতা করছে। বাবা গুরু নানক সংঘের নেতা গোপাল সিং বলেন, ‘শুধু পাকিস্তানের শিখরাই না, ভারতের শিখরাও এবং পুরো পৃথিবীর শিখরাই এই আইন প্রত্যাখ্যান করেছে।’
তিনি বলেন, ‘শিখরা ভারত এবং পাকিস্তান উভয় দেশেই সংখ্যালঘু। আর আমি নিজেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য হওয়ায় ভারতের মুসলিমদের বেদনা ও ভয়টা বুঝি।’ তিনি মোদির প্রতি আহবান জানিয়েছেন, সংখ্যালঘুদের পিঠ দেয়ালে ঠেকিয়ে না দিতে।