পারমা’ণবিক বো’মার চেয়েও শ’ক্তিশালী হাইড্রোজেন বো’মা রয়েছে ইরানের কাছে !!
পৃথিবীর সবচেয়ে শ’ক্তিশালী অ’স্ত্র বলতে দুটি। পা’রমা’ণবি’ক বো’মা ও হা’ইড্রো’জেন বো’মা। পা’রমা’ণবিক বো’মার শ’ক্তি বিশ্ববিদিত। কিন্তু তার চেয়েও শ’ক্তিশালী হা’ইড্রো’জেন বো’মা।
ইরাকে মার্কিন হা’মলা’য় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহ’ত হওয়ার পর বড় যু’দ্ধের আ’শ’ঙ্কা দেখা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। ইরানে হাতেও রয়েছে পা’রমা’ণবিক বো’মার চেয়েও শক্তিশালী হা’ইড্রো’জেন বো’মা। এখন প্রশ্ন কী এই পা’রমা’ণবিক বো’মা ও হা’ইড্রো’জেন বো’মা?
জাপানের উপর যখন আমেরিকা লিটল বয় ও ফ্যাট ম্যান ফেলেছিল, তখন কী হয়েছিল, তা কারোর অজানা নয়। দুটোই ছিল পা’রমা’ণবিক বো’মা। নিউ’ক্লি’য়ার ফি’উ’শন প্র’ক্রি’য়ায় এই বো’মা তৈরি করা হয়। বো’মাটি বি’স্ফো’রণ ঘটালে তার মধ্যস্থিত ই’উরে’নিয়াম বা প্লু’টো’নিয়ামের প’রমা’ণু ভা’ঙতে থাকে। সেখান থেকেই এনা’র্জি তৈরি হয়। যার প’রিণ’তি ইতিমধ্যেই হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে দেখেছে বিশ্ব।
এ বো’মা (অ্যা’টো’মিক বো’মা) প্রথম টেস্ট করা হয় মরুভূমিতে। জায়গাটি ছিল আমেরিকার নিউ মেক্সিকোয়। দিন, ১৯৪৫ সালের ১৬ জুলাই। মনহা’ট্টন প্রজে’ক্টের (দ্বিতীয় বি’শ্বযু’দ্ধের সময় এটি একটি গবেষণা বিষয়ক প্রজে’ক্ট। ব্রিটেন ও কানাডার সহযোগিতায় আমেরিকা এটি শুরু করে) এটি ছিল সবচেয়ে বড় প’দক্ষে’প। প্রজে’ক্টের দেশগুলো মনে করেছিল জার্মানিও এমনই কিছু পরিকল্পনা করেছে।
১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট আমেরিকা জাপানের হিরোশিমার উপর প্রথম প’রমা’ণু বো’মাটি ফেলে। বো’মার নাম ছিল লিটল বয়। বি’স্ফো’রণের ফলে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃ’ত্যু হয়। তবে অবস্থার এখানেই শেষ নয়। এখনও পর্যন্ত এর প্র’ভা’ব বয়ে চলেছে হিরোশিমা। এর ঠিক ৩ দিন পর নাগাসাকির উপর ফ্যাট ম্যান ফেলে আমেরিকা। সেখানে ৭৪ হাজার মানুষের মৃ’ত্যু হয়। এই বো’মা দুটির বি’স্ফো’রণের ফলে যে এ’না’র্জি উত্প’ন্ন হয়, তা প্রায় ২০ হাজার টিএনটি (ট্রাই নাইট্রো টলুইন)-র সমান।
দ্বিতীয় দেশ হিসেবে পা’রমা’ণবিক বি’স্ফো’রণ ঘটায় সোভিয়েত ইউনিয়ন। ১৯৪৯ সালে পা’রমা’ণবিক বো’মা বি’স্ফো’রণ ঘটায় তারা। ব্রিটেন হল তৃতীয় দেশ যেটি পা’রমা’ণবিক বো’মা টেস্ট করে। চীন, ফ্রান্স, ভারত, উত্তর কোরিয়া ও পাকিস্তানের কাছে আজ পা’রমা’ণবিক বো’মা রয়েছে। ইজরায়েলের কাছে এই বো’মা আছে কিনা তা জানাতে অ’স্বী’কার করেছে তারা।
পা’রমা’ণবিক বো’মার থেকেও শ’ক্তিশা’লি হা’ইড্রো’জেন বো’মা। এর আর এক নাম থার্মো’নি’উক্লি’য়ার বোমা। হা’উড্রো’জেনের আ’ইসো’টোপের নি’উক্লি’য় সং’যো’জন প’দ্ধ’তিতে এই বো’মা কাজ করে। এই বো’মা বি’স্ফো’রণের ফলে যে উ’ত্তা’প তৈরি হয় সেটি সূর্যের মধ্য’স্থিত শ’ক্তির সমান। এখনও পর্যন্ত হা’ইড্রো’জেন বো’মা কোন যু’দ্ধে ব্যবহার করা হয়নি।
হা’ইড্রো’জেন বো’ম দুই প্র’ক্রি’য়ায় বি’স্ফো’রণ হয়। প্রথমে নি’উক্লি’য়ার বি’স্ফো’রণ হয়। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে তা’প উ’ত্প’ন্ন হয়। তারপর সেটি নি’উক্লি’য়ার ফি’উশ’নকে উ’দ্দী’প্ত করে। পুরো প্র’ক্রি’য়ায় বিশাল বি’স্ফো’রণ ঘটে।
মার্কিন সেনা প্রথম হা’ইড্রো’জেন বো’মা টেস্ট করে ১৯৫২ সালে। পা’রমা’ণবিক বো’মার চেয়ে এটি ৭০০ গু’ণ বেশি শ’ক্তিশা’লী। এর এক বছর পর সোভিয়েত ইউনিয়ন নিজের হাই’ড্রো’জেন বো’মা বি’স্ফো’রণ ঘটায়। সালটি ছিল ১৯৬১। তসার বো’ম্বা নামে একটি হা’ইড্রো’জেন বো’মা বি’স্ফো’রণ ঘটায় তারা। বি’স্ফো’রণের ফলে প্রায় ৫৭ মেগা টন শক্তি উত্প’ন্ন হয়। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও যু’দ্ধে হাইড্রো’জেন বো’মা বি’স্ফো’রণ ঘটা’নো হয়নি।