পীরগঞ্জে অসময়ে হলুদ রঙের তরমুজ চাষে বাজিমাত !!
অসময়ে সামমাম (হলুদ রঙের তরমুজ) চাষ করে বাজি মাত করেছেন ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার রনশিয়া পশ্চিমপাড়ার তিন কৃষক।৬ বিঘা জমিতে মাচা পদ্ধতিতে এ জাতের তরমুজ চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছেন তারা। স্বল্প সময়ে অত্যন্ত লাভ জনক নতুন জাতের এ ফসলের চাষ আগামী আরো বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা যায়, সাধারণত ফাল্গুন চৌত্র মাসে তরমুজ চাষ করা হয়। কিন্তু উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়নের রনশিয়া পশ্চিমপাড়ায় ৬ বিঘা জমিতে এবারই প্রথম আসময়ে হলুদ রঙের তরমুজ সামমাম চাষ হয়েছে। উজ্জল হোসেন, সহেদ আলী ও মনতাজুর নামে তিন কৃষক মাচা পদ্ধতিতে এ ফসলের চাষ করেছেন। প্রায় দু’মাস আগে তারা এ ফসল লাগান। এখন তাদের খেতের মাচায় ঝুলছে দুই থেকে চার কেজি ওজনের হলুদ রঙের হাজার হাজার তরমুজ। চলতি সপ্তাহেই ঢাকায় পাঠানো হবে ঐ সব তরমুজ।
চাষী উজ্জল হোসেন জানান, ময়মনসিংহ এলাকায় হলুদ রঙের তরমুজের চাষের খবর শুনে তারা সেখান থেকে বীজ সংগ্রহ করে ৬ বিঘা জমিতে এবার পরীক্ষা মুলক আবাদ করেছেন। এতে তাদের খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা। বেশ ভাল ফল এসেছে। নতুন জাতের এ ফসল দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকায় কৃষক দেখতে আসছেন। এখন এ জাতের তরমুজের দামও ভাল। বর্তমানে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই তরমুজ। এরই মধ্যে ঢাকার পার্টি এসে খেত দেখে গেছেন। আট থেকে নয় লাখ টাকায় খেতেই তরমুজ কিনে নিতে চাইছেন তারা। যোগাযোগ চলছে, চলতি সপ্তাহেই ঢাকার পার্টি এসে তরমুজ নিয়ে যাবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম গোলাম সারওয়ার বলেন, অসময়ে সামমাম বা হলুদ রঙের তরমুজ চাষ এ অঞ্চলে এটাই প্রথম। সাধারণ তরমুজের চেয়ে এর স্বাদ অনেক ভাল, মিষ্টিও অনেক বেশি। সাধারণ ৬০ দিনেই এ ফসল বাজার জাত করা যায়। কৃষি বিভাগের নিয়মিত পরামর্শ প্রদান আর অবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ ফসলের আবাদ ভাল হয়েছে। বেশ লাভবান হবেন তারা। আগামী এ উপজেলায় ঐ জাতের তরমুজের আবাদ বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন ঐ কৃষি কর্মকর্তা।