প্রেসিডেন্ট হওয়ার খায়েশ সেনাপ্রধানের, নেপথ্যে চীন-ভারত !!
দশ দিন আগে অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারির ভোরের আলো ফোটার আগেই মিয়ানমারে রক্তপাতহীন সেনা অভ্যুত্থান ঘটে। এতে উৎখাত হয় অং সাং সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সরকার। আটক করা হয় সু চি ও প্রেসিডেন্টসহ অনেক শীর্ষ নেতাকে।
এভাবেই ফের ক্ষমতার দৃশ্যপটে আসে দেশটির সেনাবাহিনী। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। অন্যদিকে, নির্বাচনে আকাশচুম্বি বিজয়ের পরও সরকার গঠন করতে পারলো না এনএলডি। ক্ষমতার বদলে বন্দিদশা পেলেন সু চি।এ নিয়ে নেপালের কাঠমান্ডু পোস্টে একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এটি লিখেছেন নেপালের মেজর জেনারেল (অব.) বিনোজ বাসনিয়াত। তিনি রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক হিসেবে বেশ পরিচিত।
তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয় সু চির সরকার। এতে সেনাবাহিনীর মাঝে হতাশার সৃষ্টি হয়। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে চাইলে অসম্মতি জানায় সরকার। উল্টো সংবিধান সংশোধন করে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা কমানোর চেষ্টা করে সু চির প্রশাসন।
প্রতিবেদনটিতে মিয়ানমারের সঙ্গে নেপাল সংকটকে এক কাতারে ফেলা হয়েছে। এর যোগসূত্র হলো- ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ অব মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক)। এই সংস্থার সদস্য দেশ দুটিতে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা কৌশলে বিশৃংখলার আশঙ্কার কথা বলা হয়।এতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে চীন ও ভারতের লাভ-ক্ষতির ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশ্লেষক বিনোজ বাসনিয়াত। এর কারণ হিসেবে উভয় দেশেরই মিয়ানমার ও নেপালে বৃহৎ স্বার্থ জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
সূত্র-২৪ লাইভ নিউজ।