ফরিদপুরে ৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় মারাত্মক নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে!
ফরিদপুরে নদীর তীরে কমপক্ষে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় মারাত্মক নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যে কোনো সময় স্কুলগুলি নদীর তীরে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পদ্মা ও মধুমতিতে ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকা পাঁচটি স্কুল হল আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাঁচুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একই উপজেলার বজরা চরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এবং পশ্চিম চর নারন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গী গ্রামে বালিয়াডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চরহিরামপুর ইউনিয়নের সাবুল্লাহ সিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে সাবুল্লাহ সিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
ধসে পড়ার ঝুঁকিতে থাকা বজরা চরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা পারভীন বলেন, ‘স্কুলটি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তারপর নতুন একতলা ভবন ২০১৪ সালে নির্মিত হয়েছিল। নদীটি এখন স্কুল থেকে ৫ গজ দূরে বিল্ডিং যে কোন সময় স্কুলটি অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে।
পশ্চিম চরনারন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নব খাতুন, যিনি একই ঝুঁকিতে আছেন, বলেন, “স্কুলটি ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ১৯৯৩ সালে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল।
বর্তমান বিদ্যালয়ের টিনসেড ভবন থেকে নদী মাত্র ৩ হাত দূরে। আর একতলা ভবন থেকে নদী ২০ হাত দূরে। যদি শীঘ্রই কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে এই সময় স্কুল রক্ষা করা সম্ভব হবে না। ‘
পাঁচুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমীর কুমার বলেন, ‘স্কুলটি ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি তখন ২০১০ সালে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল। মধুমতি নদী বর্তমান স্কুল থেকে মাত্র ৪০ হাত দূরে।
এই বছর যদি নদীটি ক্ষয় হতে থাকে, তাহলে প্রাচীন প্রতিষ্ঠানটি নদীর তীরে ডুবে যেতে পারে। ‘
এদিকে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মধুমতি নদীর ভাঙনে টগরবন্দ, গোপালপুর ও পাঁচুরিয়া ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙন পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে টগরবন্দ ইউনিয়নের চাপুলিয়া, আজমপুর, চর আজমপুর ও চরডাঙ্গা, গোপালপুরের গোপালপুর, দিক নগর, কাতলাসুর ও খোলবাড়িয়া, বাঁশতলা, পাচুরিয়া এবং পাচুরিয়ার চন্দ্রা গ্রামে। এসব এলাকার মানুষ হুমকির মুখে।
টগরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো ইমাম হাসান জানান, গত এক সপ্তাহে তার ইউনিয়নের কমপক্ষে ৫০ টি ভিটাবাড়ি নদীতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া দুই একর ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কোনো ত্রাণ সহায়তা বরাদ্দ করা হয়নি।