বাংলাদেশে আসছে ওজিলের পাঠানো রমযানের খাবার !!
চলতি রমজানে মেসুত ওজিলের অনুদানের অর্থে খাবার আসবে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। মহানুভব জার্মান এই মুসলিম ফুটবলারের ঔদার্য্যের প্রমান এর আগেও অনেকবার মিলেছে। রোযার মাসে অভুক্ত মুসলমানদের মুখে খাবার তুলে দিতে তুরস্কের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে এক লাখ ২০ হাজার ডলার অনুদান দিয়েছেন এই ফুটবলার। বর্তমানে দেশটির লিগেই খেলছেন ওজিল।
ওজিল শুধু একজন ফুটবলার হিসেবেই নন, কোমল মনের অধিকারি আর পরোপকারি হিসেবে বেশ নামডাক আছে মাঠের বাইরে। তবে এজন্য কম মূল্য চুকাতে হয়নি এই মিডফিল্ডারকে। নির্যাতিত ও অসহায় মুসলমানদের পক্ষে কথা বলে বারবারই চক্ষুশূল হয়েছেন পশ্চিমা বিশ্বের। পারফরম্যান্সের দোহাই দিলেও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান সংশ্লিষ্টতায় জার্মানির জাতীয় দল থেকে তার বাদ পড়ার কথা অজানা নয় কারও।
তবে দমে যাওয়ার পাত্র নন ওজিল। পাশ্চাত্যের বাঁকা চোখ ডিঙ্গিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসহায় মুসলমানদের প্রায়ই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন সাবেক এই আর্সেনাল তারকা। কখনও অর্থ দিয়ে, কখনও চিকিৎসা ব্যয় মিটিয়ে, কখনও বা দুবেলা অন্ন জুগিয়ে।
চলতি রমজান মাসে আরও একবার দেখা মিললো দানবীর ওজিলের। পবিত্র এ মাসজুড়ে তুরস্কের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির এক ক্যাম্পেইনে এক লাখ ২০ হাজার ডলার দান করেছেন সাবেক রিয়াল তারকা। এক কোটি টাকারও বেশি অনুদানের এ অর্থ ব্যয় হবে বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের জন্য।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়ার অসহায়দের জন্য প্রায় তিন হাজার খাদ্য সামগ্রী পাঠাবে টার্কিশ রেড ক্রিসেন্ট। ওজিলের অর্থায়নে এসব খাদ্য সামগ্রী আসবে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও। সাড়ে সাতশো পার্সেল আসার কথা উখিয়া ও কুতুপালংয়ে।শুধু তাই নয়, যুদ্ধবিদ্ধস্ত সিরিয়ার ইদলিব, সোমালিয়ার মোগাদিশুর অভাবী মুসলমানদের মাসজুড়ে ইফতারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে ওজিলের অর্থায়নে।
এবারই প্রথম নয়, টার্কিশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ডক্টর কারিম কিনিক জানিয়েছেন, বহু বছর ধরেই নিরবে অসহায় মুসলমানের মুখে হাসি ফুটিয়ে চলেছেন জার্মানির ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী তারকা।শুধু মাঠ নয়, মাঠের বাইরেও অ্যাসিস্ট কিং ওজিল হতে পারেন স্বাবলম্বী অন্য সব অ্যাথলেটের দৃষ্টান্ত।