বাইডেনকে ‘নরমের পর গরম’ বার্তা এরদোয়ানের !!
রাশিয়ার কাছ থেকে কেনা অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে তুরস্ক। এ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হলেও নিজেদের অবস্থানে অটল রয়েছে দেশটি।নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সুর কিছুটা নরম করে আঙ্কারা। কিন্তু ফের হঠাৎ করেই আগের অবস্থানে ফিরেছে এরদোয়ান প্রশাসন।
এ নিয়ে টিআরটিকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন। সাক্ষাৎকারে এস-৪০০ কেনার ক্ষেত্রে তুরস্কের নীতি অপরিবর্তনীয় রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আগের অবস্থান থেকে আঙ্কারা পিছু হটবে না জানিয়ে ইব্রাহিম কালিন বলেন, এস-৪০০ কেনার ব্যাপারে নিজের অবস্থান থেকে পিছু হটবে না আঙ্কারা। এ ব্যাপারে আমেরিকার সঙ্গে চলমান মতবিরোধ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এরদোয়ানের মুখপাত্র বলেন, ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে আলোচনার পরিবেশ বজায় রয়েছে; তবে দ্রুত কোনো ফলাফল বেরিয়ে আসবে এমনটি আশা করাও ঠিক নয়।নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার পূর্বসুরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনেক নীতিতে পরিবর্তন আনলেও তুরস্কের এস-৪০০ কেনার ব্যাপারে ট্রাম্পের নীতি অনুসরণ করছেন। সম্প্রতি বাইডেন প্রশাসন এই ব্যবস্থা সংগ্রহের পরিকল্পনা থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ককে হুমকি দিয়েছে।
তুরস্ক হচ্ছে ন্যাটো জোটভুক্ত প্রথম দেশ যে কিনা রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ সংগ্রহ করেছে। ২০১৭ সালে এ ধরনের চারটি ব্যবস্থা সংগ্রহের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে ৫২০ কোটি ডলারের চুক্তি করে তুরস্ক। ২০১৯ সলের জুলাই মাসে এ ব্যবস্থা আঙ্কারাকে সরবরাহ শুরু করে মস্কো যে প্রক্রিয়া এখনো চলছে।
মার্কিন সরকার ২০১৭ সাল থেকেই রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার ব্যাপারে তুরস্ককে সতর্ক করে দিয়ে আসছে। মার্কিন সরকার দাবি করছে, এই চুক্তির মাধ্যমে তুরস্ক রাশিয়ার হাতে বিশাল অঙ্কের বাজেট তুলে দেয়ার পাশাপাশি ন্যাটা জোটের সামরিক প্রযুক্তিকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তবে তুরস্ক ও রাশিয়া আমেরিকার এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু আঙ্কারা বলেছে, দেশটি কোনো অবস্থায় রাশিয়ার সঙ্গে করা এ সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করবে না।