ভা’ই’রাস আ’ক্রা’ন্তদের বাড়ি থেকে যেভাবে ধরে আনা হয় চীনে !!
ক’রো’না’ভা’ই’রাসের উৎপত্তিস্থল চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন কর্মকর্তারা।কারো দেহে ভা’ই’রা’সের উপস্থিতি থাকার প্রাথমিক তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে আলাদা করে ফেলা হচ্ছে। এরপর হাসপাতাল কিংবা কোনো ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কেউ ক্যাম্পে যেতে না চাইলে জোর করেই নেয়া হচ্ছে তাকে।
দেশজুড়ে বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করে ব্যাপক নজরদারি চালানো হচ্ছে। এতে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন ও রোবটের মতো উন্নত সব প্রযুক্তি। রোগীর কাছে খাবার ও ওুষধ পৌঁছে দিতেও রোবট মোতায়েন করা হয়েছে।ক’রো’না’র দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে এর বি’রু’দ্ধে চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী সুন চুনলুনের গণ’যু’দ্ধের ডাক দেয়ার পরই আরও সো’চ্চা’র হয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীরা।
একজন রোগীকে আ’ট’ক করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এমন একটি ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে, উহানের চাংকিংয়ে ক’রো’না’ভা’ই’রাস আ’ক্রা’ন্ত সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে কোয়ারিন্টিনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন সুট-প্যান্ট-টাই পরা কর্মকর্তারা।
কিন্তু ওই ব্যক্তি হঠাৎ করেই দৌড় দিয়ে পা’লা’নোর চেষ্টা করছেন। হ’ত’চকিত কর্মকর্তারা দ্রুত তার পিছু ধাওয়া করেন।আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সাংহাইয়ের কাছাকাছি সুঝৌ এলাকায় প্র’তি’রো’ধক পোশাক পরিহিত কর্মকর্তারা ভা’ই’রা’স আ’ক্রা’ন্ত স’ন্দে’হভাজন এক ব্যক্তিকে তার বাড়ি থেকে টে’নে’হিঁ’চড়ে বের করে আনছেন।
চীনা সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার উহানের সব স’ন্দে’হভাজন রোগী এবং যাদের সঙ্গে কোয়ারিন্টিনে রাখা ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এমন সবাইকে কোয়ারিন্টিনে রাখার আদেশ দিয়েছে।
উপপ্রধানমন্ত্রী সান চুনলুন জানিয়েছেন, চার ধরনের লোককে বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারিন্টিন বা সাময়িক অন্তরীণ কেন্দ্রে রাখা হচ্ছে, নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত, সন্দেহভাজন ব্যক্তি, আক্রান্ত দু’জনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এমন ব্যক্তি এবং যাদের দেহে জ্বর রয়েছে।