ভারতকে যেভাবে মুসলমান শূন্য করবে বিজেপি !!
নতুন নাগরিকত্ব আইন বিজেপিকে আরো বহুদিন মহাভারতের ক্ষমতায় থাকতে সাহায্য করবে, প্রায় চিরদিন।যে কারণে আইন প্রয়োগের সাফল্যের চিন্তা অত না রাইখা কেবল ভোটেরই চিন্তায় নাগরিকত্ব আইনের দ্বারস্থ হইছেন মোদি, অমিত শাহ।মানে হইল, এই আইনের বাস্তবায়ন হউক না হউক কিছু যায় আসে না। হিন্দু ভোট বাড়লেই হইল!
তবে মুসলমান বিরোধী হিন্দু সেন্টিমেন্টের ভোটফলই এই আইনের চূড়ান্ত গন্তব্য নয়। চূড়ান্ত গন্তব্য মুসলমান শূন্য সুন্দর হিন্দু ভারত।কথা হচ্ছে, ভারতকে কোন প্রক্রিয়ায় মুসলমান শূন্য করা হবে?আমার ধারণা মুসলমান জনসংখ্যা কমানোর নতুন আইনে হাত দিবে বিজেপি, নাগরিকত্ব আইনের ঝামেলা মিটলেই।
যাতে মুসলমান দম্পতি একের বেশি মুসলমান সন্তান জন্মদান করতে না পারে ইন্ডিয়ায়।এভাবে মুসলমানরা প্রতি জেনারেশনে দুইজন থেকে পরিণত হবে একজনে, এক এক লাফে জনসংখ্যা নাইমা আসবে অর্ধেক থেকে নতুন অর্ধেকে।
আগামি একশো দুইশো বছরের মধ্যেই ভারত ধবধবে ফর্সা হইয়া যাবে, তাতে কোনো মুসলমান থাকবে না। তবে এত সময় নাও লাগতে পারে, পরিসংখ্যান পণ্ডিতরা ভালো বলতে পারবেন।
এবং যত মুসলমান কমতে থাকবে ততই বিজেপির প্রতি আদি ভারত প্রেমিক ভারতীয় হিন্দুদের আস্থা আরো বাড়বে।ক্রমবর্ধমান সেই আস্থার কালে মুসলমান দম্পতির সন্তান জন্মদান বিরোধী আইন তৈরি করাও অসম্ভব কিছু হবে না তাদের পক্ষে।
ততদিন নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলন চলতে পারে অবশ্যই। তাতে বিজেপিরও সায় থাকবে, ভারতীয় হিন্দুর সমর্থন যেহেতু এর কারণে বাড়ছেই এবং বাড়বেই।
তবে অভারতীয় মুসলমানরা মনে রাখতে পারেন, বিশ্বব্যাপী মুসলমানের সংখ্যা হ্রাসের আন্তর্জাতিক যে ষড়যন্ত্র তার ভারত অধ্যায়ই শেষ অধ্যায় না।লেখক: ব্রাত্য রাইসু, কবি ও চিত্রকর। নোট: বানানরীতি লেখকের।
সূত্রঃ যুগান্তর