ভাড়া না দেয়ায় থাপ্পর দিয়ে পরিবার সহ বের করে দিলেন বাড়িওয়ালা !!
চলছে সাধারণ ছুটি। এছাড়া অঘোষিত লকডাউন। কর্মহীন মানুষ। দিন আনে দিন খায় এমন মানুষের সংখ্যাটাই বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী মধ্যশ্রেনীর মানুষজন। অনেকেই বাড়ি ভাড়া দিতে পারছেননা পরতে হচ্ছে বাড়িওয়ালাদের নাজেহালের মুখে। এমনই ঘটনা রাজধানীর কাঁঠালবাগানে। এবিষয় প্রতিবেদন করেছে ডিবিসি নিউজ।
সংবাদে তারা জানায়, রাজধানীর কাঁঠালবাগানে একমাসের বাড়ি ভাড়া বাকি থাকায় দুই মাসের বাচ্চাসহ এক পরিবারকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ এসেছে এক বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে। ওই বাড়িওয়ালার নাম শম্পা বেগম। কাঁঠালবাগানের ৫৭/৭ ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের বাড়িতে তিন শিশুকন্যা ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন থাই গ্লাস ফিটিং মিস্ত্রি সেলিম মিয়া। করোনার মহামারিতে হাতে কাজ না থাকায় দুই মাস বাড়ি ভাড়া দিতে পারেননি তিনি। ভাড়া না দিতে পারায় সেলিম মিয়া ও তার পরিবারকে বাড়ি থেকে জোরপুর্বক বের করে দেন শম্পা বেগম।
বৈশাখের ঝড় ও বৃষ্টি থেকে দুই মাস বয়সী শিশু সন্তানকে বাঁচাতে সেলিম মিয়া থানায় যান। পুলিশের একটি দল সেলিম মিয়াকে বাসায় নিয়ে গেলে দরজা খোলেননি শম্পা বেগম। বাধ্য হয়ে ফিরে আসেন পুলিশ সদস্যরা। সেলিম মিয়ার পরিবারও আশ্রয় নেন সেখানে।
এসময়, শম্পার মোবাইল ফোন নম্বরে কল দিয়ে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত শম্পা নানাভাবে হুমকি দেন এবং জানান সেলিম মিয়ার পরিবার তাদের সব আসবাব ও অন্যান্য দ্রব্য ফেলে চলে গেছে।কিন্ত এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা জানান শম্পার অভিযোগ মিথ্যা। তিনি এই পরিবারটিকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন এবং গেটে তালা দিয়ে রেখেছেন।
এসময়, এলাকাবাসী জানায় বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের কিছু ব্যবসায়ী ও কাঁঠালবাগান এলাকায় শম্পা সুদের ব্যবসা চালান। ভুক্তভোগী মোহাম্মদ সেলিমের দশ বছরে শিশুকন্যার অভিযোগ বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার সময় তাকে একাধিক থাপ্পর দেন শম্পা। সুত্র: ডিবিসি নিউজ