মসজিদের অধিকাংশ পদ্মা নদীতে ভেসে গেছে, কিন্তু নামাজ বন্ধ করে নাই এলাকাবাসী!
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়েছে। চার নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার অধিকাংশ মসজিদ পদ্মা নদীতে ভেসে গেছে। বেশ কিছু বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। ভাঙনের আশঙ্কায় নদীর তীরের মানুষ।
সোমবার (৩০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ফেরি টার্মিনালের সিদ্দিক কাজীপাড়া এলাকায় ভাঙন শুরু হয়।
একটি মসজিদের এক তৃতীয়াংশসহ কমপক্ষে পাঁচটি বাড়ি নদীতে ভেসে গেছে। ইতিমধ্যে, অনেকেই ধ্বংসের মাঝে প্রার্থনা করছেন। বিআইডব্লিউটিএ ইতিমধ্যে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করেছে।
সোমবার (৩০ আগস্ট) সকালে জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, গোয়ালন্দ উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুল হক খান মামুন, দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রহমান মন্ডলসহ অনেকে এলাকা পরিদর্শন করেন।
তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ভাঙন রোধে কাজের গতি কম। আর শুষ্ক মৌসুমে কাজ না করায় এই এলাকার মানুষ এখন ভাঙনের কবলে।
দৌলতদিয়া ২ ওয়ার্ডের সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, ভেঙে পড়ার ভয়ে এলাকার ৫০ টিরও বেশি বাড়ি সহ বেশ কিছু স্থাপনা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ফেরি ঘাট ৩, ৪ ও ৫ এবং ঘাট এলাকার ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার হুমকিতে রয়েছে।