জেনে নিন, কুড়িয়ে পাওয়া টাকা মসজিদে দান করা যাবে কি !!
আমরা প্রায়ই রাস্তায় টাকা পরে থাকতে দেখি। অনেকে সেই টাকা কুড়িয়ে নিয়ে নিজের কাজে খরচ করে। কিছু মানুষের ধারণা এরকম, কুড়িয়ে পাওয়া টাকা নিজের অমঙ্গল বয়ে আনে। আর সে কারণে অনুশোচনা বোধ থেকে কুড়িয়ে পাওয়া সেই টাকাগুলো কোন ভিক্ষুক বা মসজিদে দান করে দেয়। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে, কুড়িয়ে পাওয়া এসব টাকা কি আল্লাহ’র ঘর মসজিদে দান করা যাবে কি না? বা এসব টাকা মসজিদে দেওয়ার ব্যাপারে শরীয়তের সমাধান আছে কি না?
ইসলাম ধর্ম মতে, যদি টাকার পরিমাণ এত কম হয় যে মালিক তা অনুসন্ধান করবে না, তবে কোনো ফকিরকে তা সদকা করে দেবে। আর যদি অনেক টাকা বা মূল্যবান কোনো বস্তু পাওয়া যায় এবং মালিক এর খোঁজে থাকবে বলে মনে হয়, তাহলে ওই স্থান ও আশপাশ এবং নিকটবর্তী জনসমাগমের স্থানে (যথা মসজিদের সামনে, বাজারে, স্টেশনে ইত্যাদিতে) প্রাপ্তির ঘোষণা দিতে থাকবে এবং প্রকৃত মালিক পেলে তার কাছে হস্তান্তর করে দেবে।
কিন্তু এর পরও যদি মালিক না পাওয়া যায়, মালিকের সন্ধান পাওয়া যাবে না বলে প্রবল ধারণা হয় তাহলে তা কোনো গরিব-মিসকিনকে সদকা করে দেবে। প্রাপক দরিদ্র হলে সে নিজেও তা রেখে দিতে পারবে। আর কুড়িয়ে পাওয়া টাকা মসজিদে দেওয়া যাবে না। কারণ ইসলামে ব্যাক্তি মসজিদে শুধু মাত্র হালাল টাকা দান করতে পারবে। (সূত্র : ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ২/২৮৯; আদ্দুররুল মুখতার : ৪/২৭৮; ফাতহুল কাদির : ২/২০৮; আলমুহিতুল বোরহানি : ৮/১৭১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন কোনো কুড়িয়ে পাওয়া বস্তু কুড়িয়ে নেয় সে যেন তার ওপর দুইজন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষী রাখে, তারপর সে যেন তা গোপন না করে, পরিবর্তন-পরিবর্ধন না করে, তারপর যদি তার মালিক আসে, তবে সে সেটার অধিকারী, আর যদি না আসে, তবে সেটা আল্লাহর সম্পদ, তিনি যাকে ইচ্ছা তা দান করেন।’ (ইবনে হিব্বান : ৪৮৯৪)