মার্কিনিদের ওপর ইরানের হা’মলা শুরু !!
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বা’হিনীর একটি ঘাঁটিতে দুটি র’কেট হা’মলার ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে বাগদাদের গ্রিন জোনে মার্কিন দূতাবাসের কাছে আঘাত করেছে দুটি মর্টা’রের গো’লা।
কারা এ র’কেট নিক্ষেপ বা গো’লাব’র্ষণ করেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তেহরানের নির্দেশেই এই হা’মলা হয়েছে।
নিরা’পত্তা বাহিনীর সূত্রের বরাত দিয়ে শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি জানায়, বাগদাদের উত্তরের আল-বালাদ ঘাঁটি লক্ষ্য করে কা’তিউশা র’কেট নি’ক্ষেপ করে এ হা’মলা চালানো হয়েছে। ওই ঘাঁটিতে মার্কিন সে’না মোতায়েন রয়েছে। তবে র’কেট হা’মলায় কোনো ক্ষ’য়ক্ষ’তির খবর জানা যায়নি।
বিমানঘাঁটিতে র’কেট হা’মলার কাছাকাছি সময়ে বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের কাছে গ্রিন জোনে (পশ্চিমা দেশগুলোর ঘোষিত কথিত আন্তর্জাতিক জোন) দুটি মর্টা’রের গো’লা এসে পড়ে। তৎক্ষণাৎ বেজে ওঠে সাইরেন। সে সময় দূতাবাসে থাকা কূটনীতিক ও সে’নাদের কিছুটা চিন্তিত দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোরে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান বা’হিনী একপাক্ষিক হা’ম’লা চালিয়ে ইরানের বিপ্ল’বী গার্ডের অভিজাত শাখা কুদস্ বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হ’ত্যার পর মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
কাসেম সোলাইমানি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সবচেয়ে আস্থাভাজন ছিলেন। দেশের সীমানার বাইরে লেবানন, ফিলিস্তিনসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের যে সা’মরিক পরিসর বেড়েছে, তার পেছনের কারিগর ছিলেন সোলাইমানি।
যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলসহ পশ্চিমারা ইরানকে দমিয়ে রাখতে চাইলেও ‘শত্রুর চোখে চোখ রেখে লড়াই’ করার নীতিতে ইরানকে ‘প্রতিরো’ধযু’দ্ধ’ শিখিয়েছেন তিনিই। এজন্য সোলাইমানি ইরানের ‘জাতীয় বীর’ হয়ে উঠেছিলেন। অন্যদিকে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলসহ তেহরানবিরোধী পক্ষের।
মার্কিন বাহিনী তাকে হ’ত্যা করায় ‘চ’রম প্রতি’শোধ’ নেয়ার হু’মকি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি। এমনকি দেশের আকাশসীমায় যু’দ্ধবি’মা’নও মোতায়েন করেছে তেহরান।