মালয়েশিয়ায় করোনা’য় আক্রান্ত ৫৫ জন – বিমানবন্দরে কঠোর নিরাপত্তা !!
করোনাভাইরাস আতঙ্কে সারা বিশ্ব। চীন থেকে ছড়িয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশে এ ভাইরাস প্রবেশ করেছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের সব দেশ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।এদিকে মালয়েশিয়ায় করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এর আগে চীনের বাসিন্দাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এখন দেশের সব চেক পয়েন্ট ও বিমানবন্দরগুলোতেও গড়ে তোলা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক খাইরুল জাইমি দাউদ এবং ইমিগ্রেশনের সুরক্ষা ও পাসপোর্ট বিভাগের প্রধান দাতুক মোহাম্মদ জুলফিকার আহমদ স্বাক্ষরিত এক নোটিশে মালয়েশিয়ার সব ইমিগ্রেশনের পরিচালকদের জানানো হয়েছে, মালয়েশিয়ার সব অটোগেট লেন, ন্যাশনাল এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন বায়োমেট্রিক সিস্টেমের (এনআরএস) এবং ই-গেট অটোমেটেড ক্লিয়ারেন্স সিস্টেম বন্ধের বিষয়ে একমত পোষণ করার কথা বলা হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এসব গেট ও অটোমেটিক গেট আগামী নির্দেশনা দেয়ার আগ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।
দাতুক খায়রুল দাজাইমি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় একটি অতিরিক্ত ব্যবস্থা হিসেবে আমরা সব অটোমেটিক এবং ই-গেটগুলো অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছি। এই পদক্ষেপের ফলে পর্যটকদের প্রবেশে প্রভাবিত হবে না। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কঠোর নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে এটি বন্ধ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক নূর হিশাম আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, মালয়েশিয়ায় মোট ৫৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, যেখানে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ জন।
গত ৩ মার্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক নূর হিশাম আব্দুল্লাহ প্রধানমন্ত্রী তানশ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। করোনাভাইরাস ঠেকাতে আরও কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।এদিকে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে মাশয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩ হাজার ৩০৩ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এছাড়া এ ভাইরাস বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬ হাজার ৩৩৬ জন। চীনের বাইরে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ইরান এবং ইউরোপের দেশ ইতালিতে। এ দুই দেশেই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১০৭ জন করে মানুষের প্রাণ গেছে।