মালয়েশিয়ায় ফাসা ২ ও ৪-এর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে যেসব এলাকা
লাবুয়ান(ফেডারেল) ফাসা ৪ এবং নেগেরি সিম্বিলানে ফাসা ২ অন্তর্ভুক্ত হবে আগামি বৃহস্পতিবার থেকে। প্রধানমন্ত্রী দাতু সেরি ইসমাইল সাবেরি জানান লাবুয়ান এবং নেগেরি সিম্বিলানের বিভিন্ন হাসপাতাল এবং আইসিইউ খালি হয়ে গেছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আস্তেধীরে পুরো মালয়েশিয়া উন্মুক্ত হবে। সবাই SOP মেনে চলুন,সাবধানে থাকুন।
আরো পড়ুন
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি প্রবাসী নিখোঁজ, শোকে পাগলপ্রায় বাবা-মা
পাবনা জে’লার আটঘরিয়া উপজে’লার একদন্ত ইউনিয়নের চৌকিবাড়ি গ্রামের দুলাল মন্ডলের ছে’লে মিরাজুল মন্ডল। ভাগ্য বদলাতে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমায় মিরাজুল। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানে সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন।
প্রথমদিকে মিরাজুল নিয়মিত টাকা পাঠাতেন ও পরিবারের খোঁজ খবরও নিতেন। কিন্তু হঠাৎ করে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরিবার, আত্মীয়স্বজন কেউ’ই জানেন না, মিরাজুলের কী’ হয়েছে? ছে’লেকে ফিরে পেতে বিভিন্ন স্থানে ধরনা দিচ্ছেন মা-বাবা। কিন্তু মিরাজুলের কোনো খোঁজ মিলছে না।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানোর জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবায়ন হয় নি কোন নির্দেশনা। মিরাজুলের কথা ভেবে তার বাবা-মা পাগলপ্রায়। মিরাজুলের বাবা জানান, আমার ছেলে মাঝে মাঝে ফোনে বলত, তার তিন রুমমেট (পাবনার মিলন, কুমিল্লার ফরহাদ ও ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সজিব) তাকে নি’র্যা’তন করত এবং টাকা-পয়সা কেড়ে নিত। এছাড়া মে’রে ফেলার হু’ম’কিও দিত।
মিরাজুলের সাথে তার পরিবারের শেষ কথা হয় ২০২০ সালের ১৭ জানুয়ারি। বিভিন্ন ভাবে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে মিরাজুলের বাবার দাবি, তার তিন রুমমেটই তাকে অ’পহ’রণ করে রেখেছে। মিরাজুলকে খুঁজে পেতে বাংলাদেশ সরকারে’র সহায়তা চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে মিরাজুলের স্ত্রী আলমা খাতুন বলেন, আমি আর কিছু চাই না। সরকার যেন আমা’র স্বামী’কে খুঁজে দেশে আনার ব্যবস্থা করে। এটাই আমা’র চাওয়া। প্রতিবেশীরা জানান, মিরাজুল একটা ভালো ছে’লে। তার বি’রু’দ্ধে খা’রাপ কিছু তারা কখনো শোনেননি। তার নি’খোঁজের বিষয়টি তারা মেনে নিতে পারছেন না। তার সন্ধান না পেলে কঠোর আ’ন্দোল’নে নামবে গ্রামবাসী।
পাবনা জে’লা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে’র সহকারী পরিচালক মো. আখলাক উজ জামান বলেন, মিরাজুলের সন্ধান চেয়ে বাংলাদেশের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে তার আত্মীয়রা একাধিক’বার লিখিত আবেদন জমা দিয়েছে। আম’রা চেষ্টা করছি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটা ব্যবস্থা করার।
তিনি আরও বলেন, অ’ভিযোগে’র বিষয়ে রিক্রুটিং এজেন্সিকে লিখিতভাবে সব তথ্য জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা এখনো বাস্তবায়ন করেনি তারা। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। মালয়েশিয়া’স্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিয়োগকারী কোম্পানির মাধ্যমে নিখোঁজ মিরাজুলকে খুঁজে বের করে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি তার পরিবার ও স্বজনদের।